সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ নভেম্বর, ২০১৮ ১৬:১৪

৭ নভেম্বরের পর আর সংলাপ নয়: কাদের

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় ৭ নভেম্বরের পর আর কোনো সংলাপ হবে না বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৩ নভেম্বর) সকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ৮ তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না ৭ তারিখে শেষ করবো এরপর পর আর কোনো আলোচনা নয়।

মোট ৮৫টির মতো দল আলোচনায় বসার সুযোগ চেয়েছে—এ কথা জানিয়ে কাদের বলেন, সব মিলিয়ে ৮৫টার মতো রাজনৈতিক দল সংলাপ চেয়েছে, তবে সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় কারণ শিডিউল ঘোষণা এর মধ্যে হয়ে যাবে।

সংলাপে বিএনপির সন্তুষ্টির কথা জানানো হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই তো আর সন্তুষ্ট হবে না। বিএনপি সন্তুষ্ট হবেন কি হবেন না, আমরা দলনেতার (কামাল হোসেন) কথা বিবেচনায় নিচ্ছি। তিনি কিন্তু বলেছেন, ভালো আলোচনা হয়েছে আমরা সেখানেই আপাতত থাকি।

গতকাল বিকল্পধারার ওনারাও কিন্তু একই সুরে কথা বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে কিন্তু তারা দ্বিমত করেননি। তাদের কিছু কিছু দাবি আমাদের নেত্রী মেনে নেয়ার কথাও বলেছেন। যেগুলো সংবিধানের বাহিরে যাবে না জানান কাদের।

তিনি বলেন, বিকল্প ধারার দাবি অনুযায়ী কিছু কিছু বিষয়ে ইলেকশন কমিশনকে বলার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করবে বলেও বলেছেন।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চায় এবং নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণও প্রত্যাশা করছে।

কেউ সহিংসতার পথ বেছে নিলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সতর্ক আছি; কারণ কারও মনে যদি কোনো মতলব থাকে, কেউ যদি সংলাপে লোক দেখানো অংশ নিয়ে ভেতরে ভেতরে নাশকতার ছক আঁকে, যদি সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়, সেই দিকেও আমরা সতর্ক আছি।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আওয়ামী লীগ চায়, সব দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাই সবার দাবি মেনে সংলাপ করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতির নামে লোক দেখানো সংলাপ করা হচ্ছে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, এডভোটেক সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মণি, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, একেএম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে চার নেতাকে স্মরণে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া দিনটি উপলক্ষে সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এছাড়াও সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

এরপর সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে শহীদ ও ৩ নভেম্বর কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতাদের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত