সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ জানুয়ারি, ২০২০ ২০:৪৪

জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ছাত্রদল, বাধা দেয়ায় পুলিশের উপর হামলা

জুতা পায়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের শহীদ মিনারে উঠতে নিষেধ করায় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে ৫ পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। আহত ৫ পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলার অভিযোগে ১১ ছাত্রদলকর্মীকে আটক করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।

এদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত এক পুলিশ সদস্যকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় এক পুলিশ কনস্টেবলের হাতে থাকা রাইফেলের ট্রিগার হারিয়ে যায়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার শহীদ খোকন পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত কনস্টেবল পারভেজকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।

তবে জেলা ছাত্রদলের ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান দাবি করেন, তাদের কোনো নেতা-কর্মী জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠেনি এবং তারা কোনো পুলিশ সদস্যকে মারধরও করেননি। শুধু সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। হয়রানি করতে তাদের মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।

পুলিশ সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরে নবাববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী শহীদ খোকন পার্কে সমবেত হন। কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত হন সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এলে সমবেত নেতা-কর্মীদের একাংশ জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে স্লোগান দিতে শুরু করেন।

পুলিশের দাবি, বিষয়টি নজরে এলে তাদেরকে শহীদ মিনার থেকে নেমে আসার অনুরোধ করেন ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্ল্যাকার্ডের লাঠি দিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন। লাঠির আঘাতে আহত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, এএসআই আশরাফুল আলম ও কনস্টেবল পারভেজসহ ৫ পুলিশ সদস্য। হামলার পরপরই ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা প্রাচীর ডিঙিয়ে পালিয়ে যান।

সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, হামলায় জড়িত ১১ ছাত্রদল নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত