সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক বাংলাদেশির অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তার শরীরে কোনো ওষুধ কাজ করছে না ।

রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর ড. মোমেন সাংবাদিকের বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আগে ৩৯ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি শ্বাসকষ্ট ও কিডনির সমস্যাসহ আরও কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৩ দিন ধরে সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন তিনি।

ড. মোমেন বলেন, "সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান আমাকে বলেছেন যে ওই বাংলাদেশির শরীরে কোনো ওষুধ কাজ করছে না।"

সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশির চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সিঙ্গাপুর সরকার বহন করছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, সেখানে থাকা বাংলাদেশিদের মধ্যে পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সিঙ্গাপুরে থাকা বাংলাদেশিদের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচ জনের নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাদের কারও নাম প্রকাশ করেনি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

১৩ দিন ধরে ওই বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিক আইসিইউতে আছেন বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওষুধ আর কাজ না করায় চিকিৎসকরা শঙ্কিত হয়ে উঠেছেন। তিনি (সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বললেন, টপ মেডিকেল সার্ভিস (রোগীকে) দেওয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি। তবে গতকাল (গত মঙ্গলবার) থেকে ওষুধ রেসপন্স করছে না। এজন্য আপনাকে জানাতে চাচ্ছি। তবে আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, যতটুকু করার আমরা করব।

সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বললাম যদি ওঁর মৃত্যু হয়, তাহলে পরিবার তো লাশ চাইবে। তিনি জানালেন, সেই ব্যবস্থাও তার সরকার করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত রোগীদের নাম সরকার জানে। তবে রোগীর ‘প্রাইভেসির’ স্বার্থে সিঙ্গাপুরে কর্তৃপক্ষ নাম প্রকাশ করতে চায় না।