সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১২:২৪

চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির এক বছর: নিহতদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর

দীর্ঘ একবছর পর পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে চকবাজার থানা পুলিশকে। ওই আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ৬৭ জনের প্রত্যেকের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ প্রতিবেদনগুলো তুলে দেন চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুন্সী আব্দুল লোকমানের হাতে।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরিতে এক দেরি কেন— জানতে চাইলে ডা. সোহেল বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হয়েছে। এছাড়া ময়নাতদন্তকারী দুজন চিকিৎসক বদলি হয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত জমা দিতে একটু বেশি সময় লাগল। আমরা পুলিশকে অবহিত করেছি। পুলিশ এসে রিপোর্টগুলো নিয়ে যাবে।

ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, মোট ৬৭টি মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। এর মধ্যে ৪৫টি মরদেহ প্রাথমিকভাবেই শনাক্তর পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ২২টি মরদেহের মধ্যে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় আরও ১৯টি মরদেহ। বাকি তিনটি মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, গতবছর ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের মর্গে মরদেহের ৬৮টি ব্যাগ আমাদের এখানে পাঠিয়েছিল চকবাজার থানা পুলিশ। এর মধ্যে একটি ব্যাগে শুধু একটি মরদেহের হাত ছিল। ফলে মরদেহের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৭তে। সবগুলো মরদেহেরই ময়নাতদন্ত করা হয়। এর মধ্যে মরদেহগুলোর চেহারা, গায়ের পোশাক ও একটি মরদেহের বুকে পুরনো অপারেশনের দাগ দেখে মোট ৪৫টি মরদেহ স্বজনরা শনাক্ত করেন। সেগুলো ওই সময়ই হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে।

ডা. সোহেল বলেন, বাকি ২২টি মরদেহ পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়ায় সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে ১৯টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। বাকি তিনটি মরদেহের পরিচয় এখনো শনাক্ত সম্ভব হয়নি। সেগুলো পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত