সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ এপ্রিল, ২০২০ ১৮:৪৫

ঘুষের প্রসঙ্গ কীভাবে আসে

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা শনাক্তকরণ কিট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। এই কিটের অনুমতি দেওয়া নিয়ে ঘুষের প্রসঙ্গ কীভাবে আসলো তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন তিনি।

সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মিডিয়া সেল আয়োজিত কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা কিট নিয়ে চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গে কথা বলেন।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, উনি (ডা. জাফরুল্লাহ) গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন আমরা কি ঘুষ দেবো? ঘুষের প্রশ্ন এখানে কিভাবে আসে? উনার মতো একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ এমন একটা উদ্দেশ্যমূলক কথা কীভাবে বলতে পারলেন?

মহাপরিচালক বলেন, গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে তারা আমাদের অফিসে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছিল।

তিনি জানান, তারা তিনজন এসেছিলেন কিন্তু সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং নীতি মেনে একজনকে পাশের রুমে বসানো হয়।

মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, উনি (ডা. জাফরুল্লাহ) বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আমাদের ওষুধ প্রশাসনকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। আমি অতি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমাদের দেশের এই মুহূর্তে প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা খুব দরকার। সবার, তাদেরও দরকার। গণস্বাস্থ্যের সহযোগিতা আমাদের দরকার। সবাই মিলে আমাদের সমস্যা সমাধান করতে হবে।

তিনি বলেন, এখানে যদি অযাচিতভাবে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালানো হয়, সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি আমি প্রত্যাখ্যান করছি। আমি অনুরোধ করব, এ ধরনের অপপ্রচার যাতে না চালানো হয়।

বিজ্ঞাপন

মহাপরিচালক বলেন, তিনি একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। তার কাছ থেকে আরও বিজ্ঞানভিত্তিক, সৌজন্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কথাবার্তা আশা করব।

তিনি আরও বলেন, আমরা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ছিলাম, এখনও আছি।

মহাপরিচালক বলেন, পৃথিবীতে র‌্যাপিড টেস্টিং কিটের সংকট নেই। হাজার হাজার কোম্পানি এই কিট উৎপাদন করছে। আমাদের অধিদপ্তরে এখনও ১৮টি কোম্পানির আবেদন আছে। যেহেতু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই র‌্যাপিড টেস্টিং কিট অনুমোদন করেনি তাই আমাদের দেশে এটি এখনও চালু করা হয় নাই।

মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, গণস্বাস্থ্যকে আমরা বলেছি একটা উদ্ভাবন হয়েছে, এখন এটাকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ভ্যালিডেটেড করতে হবে। আমাদের একটা ট্রায়াল করতে হবে। ১০০ বা ২০০ জনের উপর ট্রায়াল করা যেতে পারে। কতজনের পজিটিভ আসে বা কতজনের নেগেটিভ আসে সেসব নিয়ে একটা প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। তারপর আমাদের কমিটি তা মূল্যায়ন করে কিট অনুমোদন দেবে। সময় বাঁচাতে এখন অনলাইনেও অনুমোদন দেয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত