ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গত ৩০ এপ্রিল বিএসএমএমইউ ও আইসিডিডিআর,বিকে লিখিতভাবে অনুরোধ জানানো হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষার কিট পরীক্ষা করার জন্য। এখন পর্যন্ত কিটের স্যাম্পল নেয়নি বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় সাময়িক সনদ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সোমবার (১১ মে) ধানমিন্ডতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মেজর এ টি এম হায়দার মিলনায়তনে জরুরি  সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান তিনি।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে দেশেবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি ক্ষমা চাইছি আমাদের অপারগতার জন্য। আমাদের ব্যর্থতা, বিএসএমএমইউর কাছে কিট পৌঁছাতে পারি নাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বোঝাতে সক্ষম হইনি এটার জাতীয় গুরুত্ব। এ সময়ে আমরা জাতির জন্য কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারতাম। হয়তো সবকিছুর পরিবর্তন করতে পারতাম না। কিন্তু মানসিকভাবে মানুষকে একটা স্বস্তি দিতে পারতাম। তাই জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে আমরা সরকারের কাছে একটা আবেদন করতে চাইছি। আমাদেরকে সাময়িক সনদপত্র দেন।  যাতে আমরা লোকের  করোনা হয়েছে কি না, এ পরীক্ষাটুকু করে দিতে পারি।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)  যে কমিটি করেছিল, তাদের পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাদের প্রতিটি ধাপে ধাপে অনুমতি নিতে হচ্ছে। চিঠি ভাইস চ্যালেন্সরের দপ্তরে আছে। ওনার চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে এ কমিটি আমাদের জানাবেন, আমরা তাদের কিট দেব। আমরা দাবি করছি, এটা কার্যকর। কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত সরকারের অনুমোদন পাইনি। প্রতিদিন সাংবাদিক আমাদের ফোন করেন। আমরা বলি, কালকে, কালকে।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন ২০০  থেকে ৩০০ কিডনি রোগী ডায়ালাইসিস করে থাকেন। করোনা পজিটিভ রোগী আসে। তাদের ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হয় না। তাই জনসাধারণে কাছে আবেদন করছি, আমাদের  হাসপাতালের আশপাশে  কেউ ৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা দিলে আমরা সেখানে দ্রুত মেশিন বসিয়ে করোনা আক্রান্ত ১০০ জনের ডায়ালাইসিস প্রতিদিন করে দিতে পারি।’