সুশীল সমাজের একটি অংশ রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সংহিসতা চালিয়ে যাওয়ায় উৎসাহ যুগিয়ে ক্ষমতা দখলের ‘ষড়যন্ত্র’ করছে বলে মনে করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
এই তৎপরতাকে রাষ্ট্রদ্রোহ অ্যাখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্টদর গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা জয়।

বৃহস্পতিবার নিজের ফেইসবুকে একটি নিউজের লিঙ্ক শেয়ার করে তিনি লিখেছেন

'সুশীল সমাজ' এর নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না একটি ফোনালাপে বিরোধী পক্ষকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মানুষ হত্যা করার পরামর্শ দিয়েছেন যাতে সরকার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।

http://bangla.bdnews24.com/politics/article929323.bdnews

ডেইলিস্টার পত্রিকা নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর-এর একটি পোস্টার অর্ধ পৃষ্টা জুড়ে ছাপিয়েছে যেখানে সরকার উৎখাত এবং ক্ষমতা দখল করতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

এই সবই হচ্ছে আমাদের তথাকথিত 'সুশীল সমাজ' এর ক্ষমতা দখলের আরেকটি ষড়যন্ত্র। মান্না তার ফোনালাপে চক্রান্তের অংশ হিসাবে কামাল হোসেনের নামও উল্লেখ করেছেন। মান্না, কামাল হোসেন এবং ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামরা হচ্ছেন সেই ব্যাক্তি যারা ১/১১এর পর সামরিক শক্তিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকতে আহবান জানিয়েছিলেন।

এই লোকগুলো আমাকে বিরক্ত করছে। এরা ক্ষমতা চায় কিন্তু বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন ছাড়া একটা আসনেও কখনো জয়লাভ করতে পারেনি। গত দুই মাস ধরে সাধারণ মানুষের উপর বিএনপি জামায়াতের অগ্নিসংযোগ আক্রমনের সুযোগ নিয়ে এই লোকগুলো সম্পূর্ণ অসত্যভাবে দুই দলকেই দায়ী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রলীগ সদস্যদের ভুয়া বোমা হামলাকারী বানিয়ে ডেইলি স্টার পত্রিকা একের পর এক গল্প ছাপিয়ে যাচ্ছে যেগুলো মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই বিএনপি জামায়াতের কাছে সহিংসতা বন্ধের দাবী জানাচ্ছে না।

এখন আমরা জানি যে তারা চায় এই সহিংসতা চলুক এবং তারা আসলে আরো মানুষ হত্যায় বিএনপি জামায়াতকে সহযোগিতা করতে চায়। ব্যাপার যা-ই হোক তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে দোষ দেয় যাতে করে তারা ১/১১এর মতো আবারও সেনাবাহিনীর পিঠে চড়ে ক্ষমতায় আরোহন করতে পারে। এটা রাষ্ট্রদোহিতা। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।