বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ইসরাইলের সাথে কোন ষড়যন্ত্র করলে আওয়ামীলীগই করতে পারে বিএনপি নয়। বিএনপি আওয়ামীলীগের মত ধর্মনিরপেক্ষ দল নয়, ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী দল।

ইসরাইলের সাথে ষড়যন্ত্রের অভিযোগকে 'হাস্যকর' উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি আর প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের একাউন্টে হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের খবর থেকে দেশের জনগনের দৃষ্টি আড়াল করতেই এসব অভিযোগ করা হচ্ছে।

শনিবার বিকেলে সিলেটের একটি কনভেনশন সেন্টারে খন্দকার মালিকফাউন্ডেশন আয়োজিত, শহীদ জিয়া স্মারকবক্তৃতা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ সহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও পেশাজীবি সংগঠনের নেতারা অংশ গ্রহন করেন।

নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সশ্রস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ’৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান দেশের এক দুঃসময়ে জাতির কান্ডারি হিসেবে হাল ধরেছিলেন। তিনি জাতীয় স্বার্থে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন জিয়া।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও পরিচালনা করেন খন্দকার মালিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

আলোচনায় সাংবাদিক মাহফুজ উল­াহ বলেন, ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর দেশ গঠন করতে জিয়াউর রহমান যে অবদান রেখেছেন তা জাতি এখনো ভুলেনি। জিয়াউর রহমান ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। যতোই তাকে খাটো করার চেষ্টা করা হউক না কেনো, কিন্তু বাংলার মানুষের হৃদয় থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুঁছে ফেলা যাবে না। জিয়াউর রহমান নারী স্বাধীনতা, গার্মেন্টস শিল্প, বিদেশে মানুষ রপ্তানী থেকে শুরু করে দেশের সব সেক্টরে উন্নয়নের সূচনা করেছিলেন।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল হক, বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী ফয়সল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফুল ইসলাম, প্রফেসর ড, সাজেদুল করিম, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইকবাল, প্রফেসর মুহা. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, ড. শাহ্ মোহাম্মদ আতিকুল হক, ড. রেজোয়ান আহমদ, ড. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মনজুর উল হায়দার, আ ফ ম জাকারিয়া, শামিউল আহসান তালুকদার, ড. মো. রুহুল আমিন, ডা. শামীম আহমদ, ডা. শামীমুর রহমান, ডা. রফিকুস সালেহীন, আব্দুর রহমান রিপন, প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, ইউনুস মিয়া সুরমান আলী, কন্দকার ফজলুর রহমান বাবুল, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, সাঈদ আহমদ, রাহাত চৌধুরী মুন্না, আবু সালেহ লোকমান, বিএনপি নেতা ডা. আশরাফ আলী, আব্দুস শুকুর, জাসাস নেতা কয়েস আহমদ সাগর, বিএনপি নেতা এ কে এম তারেক কালাম, মো. আবুল কাশেম, কাজী মুহিবুর রহমান, আল মামুন খান, আমির আলী, আহাদুস সামাদ, ললি­ক আহমদ, শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, সাহেদ আহমদ চমন প্রমুখ।