১৫ জুন, ২০১৬ ১১:৫৫
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ অন্যান্য অঞ্চলের মতো দক্ষিণ এশিয়ায়ও বিস্তৃতি লাভ করেছে, যা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য হুমকিস্বরূপ। এরূপ বাস্তবতায় নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়াকে একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ অঞ্চলের দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৫ জুন) সকালে দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিনের (নাছিম) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এসব কথা জানান। এদিন সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কোলকাতায় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর দেওয়া রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে সর্বপ্রথম দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আঞ্চলিক কূটনীতির যে ধারণা তুলে ধরেন, তাতে দক্ষিণ এশিয়াকে একটি দারিদ্রমুক্ত শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক এটি আমার আন্তরিক প্রত্যাশা। আমরা চাই প্রতিবেশীদের মধ্যে নিষ্ফল সংঘাতমূলক বৈরিতার চির অবসান হোক। আমাদের জাতীয় সম্পদ লক্ষ্যহীনভাবে অপচয় না করে বরং আমাদের জনগণের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে তা ব্যবহৃত হোক। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, দক্ষিণ এশিয়াকে শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে পাশাপাশি বসবাস করার ক্ষেত্রে আমরা সবার সঙ্গে সহযোগিতা করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযদ্ধের মূল চেতনা ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র, শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ গড়া। আমরা মুক্তিযুদ্ধের এ চেতনার বিস্তৃতি ঘটিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়াকেও একটি দারিদ্রমুক্ত, শান্তিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি।
আপনার মন্তব্য