সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ আগস্ট, ২০১৬ ০৩:৩০

যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে বাদ দিয়ে জামায়াতের ‘আমির প্যানেল’

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদীকে বাদ দিয়ে জামায়াতে ইসলামির ‘আমির প্যানেল’ চূড়ান্ত হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার গোপন ব্যালটে  আমির প্যানেলের তিনজনকে মনোনিত করা হয়, এরপর রুকনদের কাছে ভোটের জন্যে পাঠানো হবে এবং তাদের ভোটেই নির্ধারিত হবে কে হচ্ছেন জামায়াতের পরবর্তী আমির।

জামায়াতে ইসলামীর আমির পদে প্রার্থিতার জন্য মনোনিতরা হলেন মকবুল আহমাদ, মুজিবুর রহমান ও ডা. শফিকুর রহমান। আলোচনায় থাকলেও মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ড পাওয়া ও কারাবন্দী দুই জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আবদুস সুবহানের নাম এই প্যানেলে আসেনি।

শুক্রবার পর্যন্ত এই ফলাফল প্রকাশ করা না হলেও জানা গেছে তিন সদস্যের আমির প্যানেলের নির্বাচন চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে শেষ হয়েছে। মজলিশে শুরার সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত তিনজনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন মকবুল আহমাদ। তিনি এখন দলের ভারপ্রাপ্ত আমির। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুজিবুর রহমান নায়েবে আমির ও দলের সাবেক সাংসদ। শফিকুর রহমান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল।

আগামী সপ্তাহের দিকে দলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম মাসুম এই তিনজনের নাম প্রকাশ করে রুকনদের (শপথধারী সদস্য) কাছে ভোটাভুটির জন্য পাঠাবেন।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা আমির পদে প্রার্থিতার জন্য তিনজনের প্যানেল নির্বাচন করে। কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্যসংখ্যা ২৭৭। এরপর সারা দেশের রুকনরা ভোট দিয়ে আমির নির্বাচন করেন। রুকনের সংখ্যা ৪২ হাজার। রুকনদের কাছে ফরম পাঠিয়ে ভোট সংগ্রহ করতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে।

এর আগে আমির পদে নির্বাচনের প্রক্রিয়ার শুরুতে দলের নীতিনির্ধারকেরা চিন্তায় ছিলেন, তিন সদস্যের আমির প্যানেলে কারা নির্বাচিত হয়ে আসেন। কারণ, বর্তমানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটিতে চারজন নায়েবে আমির আছেন। তাঁরা হলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আবদুস সুবহান ও আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং মকবুল আহমাদ ও মুজিবুর রহমান। গঠনতান্ত্রিকভাবে নায়েবে আমিরদের মধ্য থেকেই সাধারণত আমিরের প্যানেল নির্বাচিত হয়। কিন্তু সাঈদী দলের ভেতরে অন্যদের চেয়ে জনপ্রিয় বলে প্রচারিত হলেও আমির প্যানেলে তার জায়গা হয় নি।

উল্লেখ্য, জামায়াতে ইসলামির বর্তমান নেতৃত্বের অধিকাংশই যুদ্ধাপরাধের অপরাধে দণ্ডিত, এবং এদের অনেকেরই মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর হয়েছে। দলটির বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসি এ বছরই কার্যকর হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত