সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ আগস্ট, ২০১৭ ১৩:১৩

সরকার বিচার বিভাগের সঙ্গে ক্ষমতার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়নি: আইনমন্ত্রী

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে রায়ের বিষয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। তবে আদালতের দেয়া রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সরকার। বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

আনিসুল হক বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর সরকার বিচার বিভাগের প্রতিপক্ষ হিসেবে মুখোমুখি হয়নি। কারণ সংসদ কখনও আদালতের প্রতিপক্ষ নয়। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে কিছু অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করা হয়েছে। সেগুলো এক্সপাঞ্জ করার চিন্তা করছে সরকার।

আদালতের রায়ের বক্তব্য আইনি প্রক্রিয়ায় কীভাবে সরকার বাদ দিতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানান নি আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার এই রায় নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে। কিন্তু বিচার বিভাগের সঙ্গে ক্ষমতার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়নি। এখনো রিভিউ আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় আইনিভাবে মোকাবেলা করা হবে, রাজনৈতিকভাবে নয়।

তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আরও অনেক বেশি সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন। সরকার বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করেনি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের থিউরি এসেছে সামরিক শাসনের অধ্যাদেশ থেকে। সামরিক সরকারগুলো নিজেদের ক্ষমতার জন্য এটি চালু করেছে।

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের যে পরিবর্তন ষোড়শ সংশোধনীতে আনা হয়েছিল, হাই কোর্ট গতবছর তা ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে।

আপিল বিভাগ গত ৩ জুলাই সরকারের আপিল খারিজ করে দিলে সামরিক সরকারের চালু করা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান ফিরে আসে।

গত ১ আগস্ট প্রকাশিত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করেন। এরআগে, সরকারের একাধিক মন্ত্রী আপিল বিভাগের এরায়ের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত