সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ আগস্ট, ২০১৭ ২০:৫৩

‘আরও আলোচনা হবে’

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে উদ্দেশ করে আক্রমণাত্মক বক্তব্য চলাকালে তাঁর সাথে দেখা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর পরের দিন রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আলোচনা হয়েছে এবং আরও হবে।

শনিবার রাত ৮টার দিকে প্রধান বিচারপতির কাকরাইলের সরকারি বাসভবনে দুজনের মধ্যে দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠক হয়। এতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সরকার ও দলের অবস্থান তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। পরে নৈশভোজে অংশ নেন তিনি।

শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে রোববার শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বৈঠক সম্পর্কে বলেন, ‘আমি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গিয়েছিলাম। আলোচনা করেছি। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে আমাদের পার্টির বক্তব্য জানিয়েছি। আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দীর্ঘক্ষণ।’

তিনি বলেন, ‘আলোচনা আরও হবে, আলোচনা শেষ হয়নি। আলোচনা শেষ হওয়ার আগে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। সময়মত আপনারা সব জানবেন।’

প্রধান বিচারপতির বাড়ি থেকে গণভবনে যাওয়ার যে খবর গণমাধ্যমে এসেছে, তা নাকচ করেন ওবায়দুল কাদের।

“প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেই কাল আমি যাইনি। কেউ বলছেন যাওয়ার সময় গণভবন হয়ে, কেউ আবার বলছেন আসার সময় গণভবন। কোনোটাই সঠিক নয়। আমি নেত্রীর সঙ্গে আজ সকালে দেখা করেছি। কাল এ বিষয়ে তার-আমার যোগাযোগ হয়েছে, সেটা মোবাইলে।”

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের যে পরিবর্তন ষোড়শ সংশোধনীতে আনা হয়েছিল, তা ‘অবৈধ’ ঘোষণার রায় গত ১ অগাস্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে তা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এ নিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংক্ষুব্ধ হয়েছে। এই রায়, বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থী আইনজীবীরা।

আওয়ামী লীগ মনে করছে, রায়ের পর্যবেক্ষণে রাজনীতি রয়েছে। এর পেছনে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। এ জন্য এই রায়কে যতটা সম্ভব প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে আসছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত