সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ আগস্ট, ২০১৭ ১৬:৩৫

তিনি ‘ওথ বাউন্ড’ থাকছেন কি না বিবেচনা করুন: খায়রুল হক

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে আবারো ‘ভ্রমাত্মক’ বলে মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি ওথ বাউণ্ড থাকছেন কিনা সেটা বিচার বিবেচনার আহবান জানিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও বর্তমান আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক

শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জাতীয় শোক দিবস, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি শীর্ষক’ আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি।

এ বি এম খায়রুল হক বলেন, সংসদ ও সরকারের প্রতি বিরাগ থেকে যদি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা এই রায় দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা জজ সাহেবেরা কোনোদিনই অনুরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু করব না। রায়ে যদি কোনো অনুরাগ বা বিরাগ রিফ্লেক্ট করে, তাহলে হোয়াট ইজ দ্য কনসিকোয়েন্স অব দ্যট জাজমেন্ট। থিঙ্ক অ্যাবাউট ইট। আমার বলার কিছু নেই।

খায়রুল হক বলেন, যে জজসাহেব অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে... যদি আপনারা অনুরাগ বা বিরাগ বলে মনে করেন আপনারা... যেগুলো আমি বললাম, ‘পার্লামেন্ট ইজ ইমম্যাচিওর’, ‘ডেমোক্রেসি ইজ ইমম্যাচিওর’, ‘পার্লামেন্ট আমাদের ডাইরেকশন শোনেনি’, এই কথাগুলো যদি অনুরাগ বিরাগের মধ্যে চলে আসে তাহলে সেই জজ সাহেবের পজিশনটাই বা কী হবে?

আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “তিনি ওথ বাউন্ড থাকছেন কি না, সেটাও আপনারা বিচার- বিবেচনা করে দেখুন। আমি পয়েন্ট আউট করে দিলাম। ওথ ভঙ্গ হলে কি হতে পারে? আপনারা জানেন কী হতে পারে।”

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে সাবেক এই প্রধান বিচারপতি বলেন, “দ্বৈত শাসনই হচ্ছে উত্তম ব্যবস্থা। কারণ বিচারপতিরা ফেরেস্তা না। তারাও ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে।”

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে- “বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচারবিভাগীয় দায়িত্বপালনে রত ম্যাজিষ্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরীসহ) ও শৃংখলাবিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে।”

বক্তব্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক আইন কমিশনের কাজের ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেন, যেহেতু আইন নিয়ে গবেষণা করা তাদের কাজ, সেহেতু আদালতের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের এই রায় তাদের গবেষণার বিষয়ের মধ্যেই পড়ে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত