নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০২:০০

আ. লীগের সম্মেলনে সুলতান মনসুর

আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে দলটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কমিটির বাইরে থাকা সুলতান মনসুর গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যা্নারে ধানের শীষ প্রতীকে সাংসদ নির্বাচন হন।

সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর শপথ গ্রহণ ইস্যুতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের সাথে দুরত্ব সৃষ্টি হয় তার। এসম 'আমি কখনো আওয়ামী লীগ ছাড়িনি' বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় সুলতান মনসুরকে। নিজকে এখনও বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবেও পরিচয় দেন মৌলভীবাজার-২ আসনের এই সাংসদ। শনিবার সম্মেলনে এসেও এমনটি বলেছেন মনসুর।

এবার আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আবার আলোচনায় আসে সুলতান মনসুরের নাম। 'সুলতান মনুসরকে আওয়ামী লীগের কমটিতে দেখতে চাই'- এমন দাবি জানিয়ে তার অনুসারীদেরও ফেসবুকে প্রচার চালাতে দেখা যায়। যদিও এই ইস্যুতে এখনও নীরব রয়েছেন মনসুর। তবে শুক্রবার আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের অন্যনেতারা অংশ না নিলেও যোগ দেন মনসুর।

আ. লীগের সম্মেলনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজও উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মঞ্চের সামনে দর্শক সারির প্রথমেই বসেছিলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। যেখানে তার পাশাপাশি দলের বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী এবং সমপর্যায়ের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে, সোহেল তাজ আসন গ্রহণ করেছিলেন ডান পাশের তৃতীয় সারিতে।

সম্মেলনে কী প্রত্যাশা সুলতান মনসুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে দলটি আজ সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল। তার নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করাই আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের শপথ হোক—এটাই আমার প্রত্যাশা।’

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আরও বলেন, ‘আমি একসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। এরপর অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিইনি। উপমহাদেশের প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। সম্মেলনে আমাকে দাওয়াত করা হয়েছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা হিসেবে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী একজন কর্মী।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত