সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৪:২৩

আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে নানক-রহমান-শাজাহান

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতিমণ্ডলীতে এসেছে তিন নতুন মুখ। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকেও করা হয়েছে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাদের নাম ঘোষণা করেন।

নতুন কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন— সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।

২১তম কাউন্সিলে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানের নাম সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত তালিকাতে ছিলো বলে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। জাহাঙ্গীর কবির নানক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সে আসনে মনোনয়ন পান সাদেক খান। গুঞ্জন ছিল, নির্বাচনে মনোনয়ন না পেলেও টেকনোক্র্যাট হিসেবে নানক স্থান পাবেন মন্ত্রিসভায়। কিন্তু এর আগে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নানকের ঠাঁই হয়নি মন্ত্রিসভাতেও। তবে নির্বাচনের সময় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ‘বুঝিয়ে-শুনিয়ে’ একতাবদ্ধ করতে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসিত।

আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ফরিদপুর-১ আসন থেকে একাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। নানক, বি এম মোজাম্মেল হক ও বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিভেদ মিটিয়ে দল গোছানোর। সে দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে ছিলেন না আব্দুর রহমান।

এর আগে, ২০১৬ সালের কাউন্সিলে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কমিটিতে স্থান পান তিনি। ওই সময় সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।
শাজাহান খান আগের মেয়াদে নৌপরিবহন মন্ত্রী থাকলেও নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি দায়িত্ব পাননি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত