সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০২ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:০৬

মেটলাইফ’র কর্মকর্তাদের ধর্মঘট স্থগিত

সমস্যা সমাধানের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের

আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ‘মেটলাইফ’র অধিভুক্ত সিলেটের ‘কবির খান এজেন্সি’র ম্যানেজার কবির উদ্দিন খানের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রতিবাদে ভুক্তভোগী ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ও ইউনিট ম্যানেজারবৃন্দের ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২ নভেম্বর) কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দেন মেটলাইফ’র আন্দোলনরত ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ও ইউনিট ম্যানেজাররা।

গত ২৭ অক্টোবর সিলেট নগরীর দরগা গেইটস্থ মেটলাইফ সেলস অফিসের ভিতরে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী এফএ এবং ইউএম-রা। এদিন তারা ৩১ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সিলেট জেলা শহরের প্রত্যেকটি এজেন্সিতে ধর্মঘটসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।

তবে ইতোমধ্যে মেটলাইফ’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে বলে আন্দোলনকারীদের আশ্বাস প্রদান করা হয়। এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়া ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ও ইউনিট ম্যানেজাররা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন।

ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিতের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এফ.এ মো. রাসেল উজ্জামান।

উল্লেখ্য, সিলেটের ‘কবির খান এজেন্সি’র ম্যানেজার কবির উদ্দিনের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রতিবাদে দুই মাসেরও অধিক সময় থেকে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন মেটলাইফ’র ভুক্তভোগী ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ও ইউনিট ম্যানেজারবৃন্দ। তাদের অভিযোগ- কবির উদ্দিন নানা অনিয়ম ও কোম্পানি বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। কোম্পানির নিয়োগকৃত সেক্রেটারিবৃন্দ কবির খানের কথায় অফিসের কাজ বাদ দিয়ে নিজেরা গ্রাহকদের পলিসি করাতে ব্যস্ত থাকেন। এছাড়াও সার্টিফিকেট জাল করে এফ.এ (ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট) নিয়োগ দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, কোম্পানির নির্দিষ্ট ফরমেট ছাড়াই কবির উদ্দিন ব্যক্তিগত ফরমেটে গ্রাহকদের পলিসি করান।

এছাড়াও কবির উদ্দিন মেটলাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির লোগো দেখিয়ে লোক নিয়োগ দিয়ে এফ.এ কোড তৈরির পর পরবর্তীতে সে এফ.এ (ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট)-কে তার ভাইয়ের কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স-এ স্থানান্তরিত করেন।

এদিকে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে কবির উদ্দিন খানের অনিয়মের বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেন। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলায় ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে অজিত কুমার ভট্টাচার্য (৬৩) ও বিনয় ভূষণ দে (৩৫) নামের দুজন ইউনিট ম্যানেজারের চুক্তি বাতিল করান কবির উদ্দিন। এছাড়াও এই দুই ম্যানেজারের সকল গ্রাহককে কবির উদ্দিন তার নিজস্ব কোডে স্থানান্তরিত করতে অজিত কুমার ও বিনয় ভূষণকে অফিসে প্রবেশ না করার জন্য হুমকি দেন। এমনকি তিনি বাসায় গিয়েও তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন কবির। এছাড়াও কবির উদ্দিন বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। বরং তিনি তার নিজস্ব বলয় তৈরি করে অন্যায়-অবিচার অব্যাহত রেখেছেন।

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত