সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ মার্চ, ২০১৬ ১৯:৪৫

২০১৯ সালের মধ্যে কানাইঘাট-জকিগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছবে : সেলিম উদ্দিন

বিরোধী দলীয় হুইপ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিম উদ্দিন এমপি বলেছেন, গত ২ বছরে কানাইঘাট-জকিগঞ্জে ৪শ’ কিলোমিটার এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১৭২ কিলোমিটার এলাকায় কাজ চলছে। ২০১৯ সালের মধ্যে জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।

তিনি আরও বলেছেন, কানাইঘাট উপজেলা সার্বিকভাবে এখনও পিছিয়ে আছে। তবে, ছেলেমেয়েরা নিজেদের চেষ্টায় এখন সুশিক্ষিত হয়ে উঠছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে আমূল পরিবর্তন আসবে এবং জেলার মধ্যে ভাল অবস্থান দখল করবে।

তিনি সোমবার বিকেলে কানাইঘাট উপজেলার বীরদল গ্রামে গ্রীণবার্ড কিন্ডার গার্টের এর এক দশক পূর্তি ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএফএম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও গ্রীণবাড কিন্ডার গার্টেন এর প্রধান শিক্ষক শামসুদ্দিন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস শহীদ লস্কর বশির, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি ও সমাজসেবি জাতীয় পার্টি নেতা শাহাব উদ্দিন, বীরদল অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শওকত হোসেন। এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুরব্বি আহমদ হোসেন, কানাইঘাট উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্ঠা মাস্টার ফারুক আহমদ চৌধুরী, বীরদল অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ের গোলাম কিবরিয়া।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রূপালী ব্যাংক রাজাগঞ্জ শাখার ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবি ও শিক্ষানুরাগি ফখরুল ইসলাম, কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন কানাইঘাট উপজেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমদ রানা, কানাইঘাট থানার এসআই আবু কাউসার, জাতীয় যুব সংহতি নেতা মর্তুজা আহমদ, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি আব্দুর রব, জুনাব আলী, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালিক, মাস্টার আবু তাহির, মাস্টার শামসুল আলম, মাস্টার আজমল হোসেন, ফয়জুল আমীন, কয়ছর আহমদ, দুর্বার তরুণ সংঘের সভাপতি আব্দুল গাফফার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে সেলিম উদ্দিন এমপি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার প্রতিটি জনপদের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎসহ সবক্ষেত্রে এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে।

তিনি বলেন, আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলেছি। আমার পিছিয়ে পড়া কানাইঘাট-জকিগঞ্জ এলাকার উন্নয়নে তার সহযোগিতা কামনা করেছি। তিনি সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

এমপি সেলিম উদ্দিন বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পর আমি প্রথমে বিদ্যুৎকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। দায়িত্ব পাওয়ার পর আমার সংসদীয় এলাকায় ৪শ’ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। চলতি অর্থবছরে ১৭২ কিলোমিটার কাজ করছে। ২০১৮ নয়, ২০১৯ সালের মধ্যে জকিগঞ্জ কানাইঘাটের প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।

৬০ রাস্তা পাকাকরণের তালিকা তৈরি করে করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আশাকরি, সব রাস্তায় আগামীতে পাঁকাকরণ হয়ে যাবে।

নিজের সংসদীয় এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নের উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি এই অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, দায়িত্ব পাওয়ার পর দুই উপজেলায় উন্নয়ন গতিশীল করেছি। যা জেলার অন্যকোন উপজেলায় এই মুহূর্তে বিদ্যমান নেই।
তিনি বলেন, হরিপুর-গাছবাড়ি রাস্তায় ২৩ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। বুরহান-গাছবাড়ি রাস্তা উন্নয়নে ১৬ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়ে যাবে শিগগিরই। দরবস্ত-কানাইঘাট রাস্তায় ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।  

আয়োজকদের দাবির প্রেক্ষিতে বুরহান উদ্দিন সড়ক থেকে বীরদল গ্রামের রাস্তা পাঁকাকরণ ও বীরদল অগ্রগামী স্কুল এমপিওভূক্তির আশ্বাস দেন এমপি সেলিম উদ্দিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত