সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

২০ আগস্ট, ২০১৭ ১৬:২৯

সাংবাদিকতায় আতাউর রহমান আতা এক জীবন্ত কিংবদন্তী

সিলেট প্রেসক্লাবে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা

সিলেটের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আতাউর রহমান আতা এক জীবন্ত কিংবদন্তী। জীবন সংগ্রামের পাশাপাশি সিলেটের নানা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে তাঁর চিত্রশিল্প। স্থানীয় সাংবাদিকতায় একটা সময় ছিলো আতা ছবি না দিলে ছবিবিহীন সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছে। জীবনের অনেকের সান্নিধ্য পেলেও লোভ লালসার ঊর্ধ্বে উঠে সাদাসিধে জীবনযাপন করেছেন তিনি। ফলে আর্থিকভাবে লাভবান না হলেও অর্জন করেছেন মানুষের ভালোবাসা। বক্তারা আতাউর রহমান আতা’র সুস্থ সুদীর্ঘ জীবন কামনা করেন।

শনিবার (১৯ আগস্ট) সিলেট প্রেসক্লাব-মহিবুন্নেছা সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সিলেট প্রেসক্লাবের আমীনূর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রথিতযশা আলোকচিত্রী আতাউর রহমান আতার হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। বক্তারা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকনকে ধন্যবাদ জানান এমন একটি সম্মাননা প্রদানের সুযোগ করে দেয়ায়। ক্লাব নেতৃবৃন্দ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মহিবুন্নেছার পরিবার বর্গের প্রতি।

সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, মুকতাবিস উন নূর, ইকবাল সিদ্দিকী ও আহমেদ নূর, ক্লাবের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আমজাদ হোসাইন, সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বদর ও আবদুল কাদের তাপাদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বশির উদ্দিন ও মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক কাজিরবাজারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ সুজাত আলী ও প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবদুল আহাদ।

ঐতিহ্যবাহী সিলেট প্রেসক্লাবের গৌরবময় ঐতিহ্য তুলে ধরে হারুনুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তিকে সম্মাননা দিলো সিলেট প্রেসক্লাব। শুধু আতাউর রহমান আতাই নয়, এতে আমরা সকলেই আনন্দিত। তিনি বলেন, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের সম্মাননার পাশাপাশি সাংবাদিকদের আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনিবার্য প্রয়োজন মনে করি। তিনি এই সস্মাননা প্রদান অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

মুকতাবিস উন নূর বলেন, সাংবাদিক অঙ্গনে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ আতাউর রহমান আতা। তাকে সম্মানিত করায় আনন্দিত গর্বিত। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে নিজ থেকে এ ধরনের আরেকটি পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেন তিনি।

ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, নানাবিধ সমস্যা থাকা সত্ত্বেও সিলেট প্রেসক্লাব তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। যা আমাদের জন্য অনেক বড় বিষয়। ভবিষ্যতে এ সম্মাননা যাতে আর সমৃদ্ধ করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

আহমেদ নূর বলেন, সিলেটের মতো বিভাগীয় শহরে সাংবাদিকতা করলেও আতাউর রহমান আতা ক্যামেরার মাধ্যমে জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন। দেশের খ্যাতিমান সাংবাদিকদের চিত্র প্রতিযোগিতায় সবাইকে পেছনে ফেলে তিনি প্রথম হয়েছিলেন। স্থানীয় গণমাধ্যম তাঁর কাছে ঋণী। সম্মাননা প্রদানে সঠিক ব্যক্তিকে নির্বাচিত করায় ক্লাব নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ মো. আফতাব উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন শিহাব, সাবেক সহ-সভাপতি আজিজুল হক মানিক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমদ, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল বাতিন ফয়সল, ক্লাব সদস্য জেড এম শামসুল, ছিদ্দিকুর রহমান, মো. মুহিবুর রহমান, মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, কবির আহমদ, মঈনুল হক বুলবুল, মো. আব্দুল মুকিত অপি, আহমদ মারুফ, দিগেন সিংহ, নৌসাদ আহমেদ চৌধুরী, বেলাল আহমেদ প্রমুখ ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত