সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

১৪ মার্চ, ২০১৮ ২২:৩২

সিলেটে দুইদিন ব্যাপী পরিবার পরিকল্পনা মেলা শুরু

‘পরিকল্পিত পরিবারে গড়বো দেশ, উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে সিলেটে শুরু হয়েছে দু’দিন ব্যাপী পরিবার পরিকল্পনা মেলা। প্রথমবারের মতো পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট আয়োজিত এই মেলা নগরীর মাছিমপুরস্থ সীমান্তিক কমপ্লেক্সে বুধবার (১৪ মার্চ) শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেলা শেষ হবে দুইদিনের এই মেলা। মেলায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ২০টি স্টল অংশ নেয়।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিনের সভাপতিত্বে পরিবার পরিকল্পনা মেলা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রমের মাধ্যমে জনসংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান গড় আয়ু ৭১ দশমিক ২ এবং মাথাপিছু আয় ১৬১০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এই কার্যক্রমকে ধরে রাখার জন্য পরিবার পরিকল্পনাকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।’

সিলেট সদর উপজেলার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব আবুল মনসুর আজাদের পরিচালনায় সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো পরিবার পরিকল্পনা মেলা নামে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। তিনি মেলা পরিদর্শনের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানোর পাশাপাশি মেলা আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করায় সিলেটের জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।’

অনুষ্ঠানের অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব এ কে এম সেলিম ভূঁইয়া, এফপিসিএস-কিউআইটির সিলেট অঞ্চলের রিজিওনাল কনসালট্যান্ট ডা. মোসা. উমর গুল আজাদ, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট’র অধ্যক্ষ এমদাদুল হক খান, সিলেট সদর উপজেলার মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ডা. মো. নজরুল ইসলাম, সীমান্তিকের উপ-নির্বাহী পরিচালক কাজী হুমায়ুন কবীর, সেভ দ্যা চিলড্রেন এর উজ্জীবন প্রকল্পের সিলেট ডিভিশন্যাল ম্যানেজার জামিল আখতার।

অনুষ্ঠান শেষে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় আকস্মিক বিমান দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার বিএস ২১১ নম্বর ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত দেশী-বিদেশী ৫১ জন আরোহীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং তাঁদের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত