সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০৩ জুন, ২০১৮ ০৩:১২

‘জাতীয়তাবাদী আদর্শের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাসের মোকাবেলা করতে হবে’

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী বলেছেন- মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি শহীদ জিয়াকে নিয়ে সাহিত্য চর্চায় যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ ও জুলুমের বিরুদ্ধে সাহিত্য হতে পারে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ। তথ্য সন্ত্রাসের মোকাবেলা তথ্য দিয়েই করতে হবে। জাতীয়তাবাদী আদর্শের শহীদ জিয়ার সৈনিকদের সাহিত্য চর্চায় আরো বেশী মনোনিবেশ করতে হবে। সততা, নিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে শহীদ জিয়া শুধু বাংলাদেশের নয়, মুসলিম বিশ্ব তথা গোটা বিশ্ববাসীর মন জয় করেছিলেন। সাহিত্যকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে আদর্শিক কলমকে শানিত করতে হবে।

শনিবার (২ জুন) প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে কমল সাহিত্য পরিষদ সিলেটের উদ্যোগে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থ “৩০ শে মে”র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

স্মারকের সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি সালেহ আহমদ খসরুর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক সাজন আহমদ সাজুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গণিত বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাজেদুল করিম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও সিসিকের প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর বিএনপির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ কেমুসাসের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, কবি বাছিত ইবনে হাবিব।

কেমুসাসের সাহিত্য আসর কক্ষে ছাত্রদল নেতা রায়হান আহমদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক, সংগঠক ও মানবাধিকার কর্মী এমজেএইচ জামিল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাহিত্য কর্মী আব্দুস শহিদ মাটি, মানবাধিকার কর্মী রাশেদুজ্জামান রাশেদ।

উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা রফিকুল বারী রোমান, এম. মখলিছ খান, যুবদল নেতা মঞ্জুর হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল ইবনে রাজা, ছাত্রদল নেতা মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, আলমগীর হোসেন, ডা: শাকিল রহমান, ওমর মওদুদ, সমাজসেবী আব্দুর রহিম, সাহিত্যকর্মী আব্দুল কাদির জীবন, রফিকুল ইসলাম নাঈম ও মাহফুজ দিদার প্রমুখ।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাজেদুল করিম বলেন- মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনায় জাতি মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে চরম দুর্ভিক্ষ, খুন, রাহাজানি ও লুটতরাজে জনজীবন যখন দুর্বিসহ। ঠিক সেই মুহূর্তে সিপাহী জনতার বিপ্লবে শহীদ জিয়া হয়ে উঠেছিলেন মুক্তির কাণ্ডারি। জিয়াউর রহমান সরকার প্রধান হওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই দেশে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে সামর্থ্য হয়েছিলেন। সততা, মেধা ও সঠিক কর্মপন্থার মধ্য দিয়েই শহীদ জিয়া হয়েছিলেন দেশের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা। এই ক্ষণজন্মা মহান ব্যক্তি সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে, জানাতে হবে। এক্ষেত্রে শহীদ জিয়া কেন্দ্রীয় সাহিত্য কর্ম হতে পারে সত্যের আলোকবর্তিকা।

শহীদ জিয়ার জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নেতৃত্বকে জাগাতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষ জাতীয়তাবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে রাজপথের সংগ্রামের পাশাপাশি সাহিত্য জগতেও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরো বেশী করে অগ্রসর হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সালেহ আহমদ খসরু বলেন- শহীদ জিয়া এবং খালেদা জিয়া হচ্ছেন আমাদের পুঁজি। আমরা সেটা ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাচ্ছি। এভাবে আর কত। এবার কিছু দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সাহিত্য চর্চার দিকে ধাবিত করতে হবে। সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ার মত যোগ্য মানুষ তৈরি করতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত