সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০৩ জুন, ২০১৮ ১৩:২৬

বাজেটে কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি বাসদের

আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে ৪০ শতাংশ ও শিক্ষা-স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবিতে সিলেটে মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেছে বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখা।

রোববার (৩ জুন) সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

এ উপলক্ষে বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমরেড উজ্জল রায়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সুশান্ত সিনহা সুমনের পরিচালনায় আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার নেতা এ্যাড. হুমায়ূন রশীদ সোয়েব, মোখলেসুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি রেজাউর রহমান রানা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী ৫ জুন, ২০১৮ জাতীয় সংসদে সরকার বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে। আয় ও ব্যয় বরাদ্দের হিসাব যেভাবে থাকে, তাতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও প্রশ্নটি ওঠছে- কার টাকায় কার জন্য বাজেট হচ্ছে? অভিজ্ঞতা বলে, বাজেটের আয়ের সিংহভাগের যোগানদাতা খেটে খাওয়া গরীব মানুষের স্বার্থ ও অধিকারকে প্রাধান্যে রেখে কোনো বাজেটই প্রণীত হয়নি।

অন্যদিকে, মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি-ব্যবসায়ী, আমলা, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর স্বার্থই প্রাধান্য পেয়েছে। আগামীতে যে (প্রায়) ৪ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রণীত হবে, তাতে বর্তমান অর্থবছরের চেয়ে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আরো ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের বাজেট বিবেচনায় দেখা যাবে, প্রতিবারই ট্যাক্সের আওতা ও পরিধি বেড়েছে আর সাধারণ জনগণের ওপর ব্যয়ের বোঝা চেপেছে। আমাদের শঙ্কা এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। এমনিতেই দ্রব্যমূল্য, জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের প্রকৃত আয় কমেছে। কেবলমাত্র চালের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ৫ লক্ষ পরিবার দারিদ্রসীমার নীচে নেমে গেছে। কয়েকদিন আগে খবর বেরিয়েছে, উত্তরাঞ্চলে গরীব মানুষ বেড়েছে। ওএমএস-এর যে চাল অল্পসংখ্যক মানুষ ১০ টাকায় কিনতে পারত, তা এখন ৩০ টাকা। অথচ উৎপাদক কৃষক এবারও দাম পায়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভিটে-মাটি-ফসল হারানো কৃষকের পাশে দাঁড়ায়নি সরকার। বরাদ্দকৃত ভর্তুকির টাকা যে কৃষকের কাজে লাগে না, ফাঁক গলে তার সুবিধা নেয় অন্যরা- একথা দিবালোকের মতই স্পষ্ট। বছরের অর্ধেকের বেশি সময় কর্মহীন কৃষকের জন্য রেশনের ব্যবস্থা নেই, অথচ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এ সুবিধা ভোগ করেন।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সরকারের অনীহা লক্ষণীয়। আমাদের দেশে শিক্ষাখাতে এউচ-র ৬ ভাগ ও জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ বরাদ্দের দাবি দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষানুরাগী মহলের পক্ষ থেকে তোলা হলেও সরকারের বরাদ্দ ২-এর কোঠায় সীমাবদ্ধ। স্বাস্থ্যখাতে দিন দিন বরাদ্দ কমিয়ে সরকার বেসরকারিকরণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা দাবি করেন, আসন্ন অর্থ বাজেটে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমিয়ে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনকল্যাণমূলক খাতে বরাদ্দবৃদ্ধি করতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত