সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০৩ জুন, ২০১৮ ১৩:৪৫

মৌলভীবাজারে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধের দাবিতে সভা

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকল শ্রমিককে মাসিক বেতনের সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রদান ও বকেয়া বেতন ভাতা ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা শাখা।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২ জুন শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির উদ্যোগে শহরের কোর্টরোডস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৪৫৩ এর সভাপতি সোহেল মিয়া, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫ এর সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন মিয়া, হোটেল শ্রমিকনেতা তারেশ বিশ্বাস সুমন, রিকশা শ্রমিকনেতা মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. মহসীন খান, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের কষ্টার্জিত মুনাফায় মালিকরা মহাধুমধামে ঈদ উদযাপন করলেও তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শ্রমিকদের আইনগত ন্যায্য উৎসব বোনাস প্রদান করেন না, এমন কি কোন কোন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মাসিক বেতনও মালিকরা ঠিক মত পরিশোধ করেন না। অথচ সরকার বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ অনুযায়ী সকল শ্রমিককে উৎসব বোনাস প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বক্তারা সরকারের শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন এ পর্যন্ত যতবার শ্রমআইন সংশোধন করা হয়েছে ততবারই শ্রমিকদের অধিকার কিছু না কিছু ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। বর্তমান শ্রম আইনের ২৬ ধারাসহ শ্রমিক স্বার্থবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল করে আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রদান করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়নের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন সরকার মাদকবিরোধী অভিযানের নামে নির্বিচারে বিনাবিচারে একের পর এক মানুষ হত্যা করে চলেছে। মাদকব্যবসা যেমন অপরাধ তেমনি বিনা বিচারে মানুষ হত্যা তার চেয়ে বড় অপরাধ। গত দুই সপ্তাহে ১৪০ জনের বেশি মানুষকে বিনাবিচারে হত্যা করার বিষয় উল্লেখ বক্তারা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন অপরাধী যেই হোক তাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া যেকোনো সভ্য দেশের রীতি।

সভা থেকে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ ও রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সাম্রাজ্যবাদী দেশ ও সংস্থা সমূহের সাথে সম্পাদিত জাতীয় ও জনস্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে কমানো, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা বাতিল, শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে ২০ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণ ও গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন, চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৪শ টাকা, ভূমিহীন দরিদ্র কৃষকের হাতে জমি ও কাজ, কৃষি উৎপাদনের খরচ কমানো এবং ফসলের ন্যায্যমূল্য, সার, ডিজেল. কীটনাশকের দাম কমানোর দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত