সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০৩ জুন, ২০১৮ ১৭:০১

সিলেটে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সমাবেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩ জুন) বেলা ১২টায় মিছিলটি সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে শুরু হয়ে সিটি পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ সুরমা কলেজের সাজু ইসলাম, হাবিবুর রহমান খান, এমসি কলেজের সুরাইয়া পারভিন, মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তানজিনা বেগম, সূচনা বৈদ্য, শ্যামলী দাস, সরকারি কলেজের আশীষ সেন, আবু হুরায়রা লিমন, ঢাকা দক্ষিণ কলেজের প্রিয়াংকা রায়, সানজিদা আক্তার, মদন মোহন কলেজের সৈকত ভৌমিক, পলাশ কান্ত দাস, আল-আমিন, নাবিল এইচ সরকার প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক (পাস) কোর্সে ভর্তি হয়েছিলাম। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ ২০১৭-১৮ এ আমরা পুনরায় নতুন করে ভর্তি হয়ে প্রথম ভর্তির সেশন বাদ দিয়ে শিক্ষা জীবন পরিচালনা করছি। ২য় ভর্তির ক্ষেত্রে ১ম ভর্তির জন্য আমাদের কোনরূপ বাধা বা নিষেধাজ্ঞা হয় নাই। ইতিমধ্যে আমরা ইনকোর্স ও টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের ১ম বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফরম পূরণকে সামনে রেখে হঠাৎ করে ২০ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জরুরী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দ্বৈত ভর্তি ক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক অথবা পাস কোর্সে যে সকল শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে ২০১৭ সালের ১ম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তাদের প্রত্যেককে ১ম ভর্তি বাতিলের জন্য জরিমানা ১০ হাজার টাকা ও ভর্তি বাতিল ফি ৭ শত টাকা এবং যে সকল শিক্ষার্থী ২০১৭ সালের ১ম বর্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি তাদের প্রত্যেককে জরিমানা ৭ হাজার ৫ শত টাকা ও বাতিল ফি ৭ শত টাকা জমা দিয়ে ১ম ভর্তি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদান করা হবে না।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১ম বর্ষ ভর্তি নির্দেশিকাতে উল্লেখ আছে, একই শিক্ষাবর্ষে কোন প্রার্থী দ্বৈত ভর্তি হলে তার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা তো একই শিক্ষাবর্ষে দ্বৈত ভর্তি হই নি। আমরা ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলাম এবং পরবর্তীতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে পুনরায় আবেদন করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি হয়েছি। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী আমাদের উপর দ্বৈত ভর্তির জন্য যে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে তা অযৌক্তিক। তাছাড়া স্ব স্ব কলেজে ভর্তি বাতিলের ফি জমা দিয়ে, ভর্তি বাতিল ফরম পূরণ করে মূল কাজগপত্র উত্তোলন করেছি এবং পরবর্তী সেশনে ভর্তি হয়েছি। তাহলে কেন কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেই নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে ভর্তি বাতিল নিশ্চিত করেনি? সেই দায় কি শিক্ষার্থীদের?

সুতরাং এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হলে অনেক শিক্ষার্থী জরিমানা টাকা না দিতে পেরে শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়বে, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ও শিক্ষার্থীদের সাধনা অঙ্কুরে বিনষ্ট হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত কার্যকরী দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সময়ে নামে বেনামে অযৌক্তিকভাবে ফি বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

সমাবেশ থেকে ৫ জুন সিলেট শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত