সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০৭ জুন, ২০১৮ ১৬:৪৯

ব্যবসাবান্ধব বাজেট পেশ করায় অর্থমন্ত্রীকে সিলেট চেম্বারের অভিনন্দন

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জন্য 'সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ' শিরোনামে একটি বাস্তবমুখী, সময়োপযোগী এবং ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, সরকারের সকল মন্ত্রীবর্গসহ বাজেটের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিনন্দন জানানো হয়।

চেম্বার সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, ব্যক্তিগতভাবে এটি অর্থমন্ত্রীর ১২তম বাজেট, যা সিলেটবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, এ বছর বাজেটে মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ। বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের ধারায় যারা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ও যৌক্তিক। আগামী অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে জিডিপির ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ১২ দশমিক ২ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৭ শতাংশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে দেশের মানবসম্পদ ও অভ্যন্তরীণ উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে।

তিনি আরও বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে আঞ্চলিক সমতা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও গুণগত ব্যয়ের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৫৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা বরাদ্দের ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে।

বাজেটে আয়ের উৎস বিবরণীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত আয় ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ ধরা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আয় বৃদ্ধি হলে বিদেশী ঋণের উপর চাপ কমবে। দেশের বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় নতুন এক হাজারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সকল ইউনিয়নে আইসিটি বেইজড কমিউনিটি লার্নিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এছাড়াও হাইব্রিড মোটর গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবটি যুক্তিসঙ্গত ও সময়োপযোগী বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি পর্যটন নগরী হিসেবে সিলেটের বিকাশে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেন। সর্বোপরী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেট একটি উন্নয়নমুখী, সময়োপযোগী ও জনবান্ধব বাজেট। সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এই বাজেট দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত