সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ মার্চ, ২০২০ ২৩:৪৩

অবিলম্বে দেশের সকল চা বাগানে ছুটি ঘোষণার দাবি

মহামারি করোনার ভয়াবহতায় গোটা দেশের সকল সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে তখন দেশের ১৬৭ টি চা বাগানে শ্রমিকদের ছুটি নেই। চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও আতঙ্কের মধ্যে কাজ করছে প্রায় দেড় লক্ষ চা শ্রমিক। এই অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। সবেতন ছুটিসহ খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

তবে শ্রমিকদের এমন দাবি সত্ত্বেও মঙ্গলবার গণভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী সকল চা বাগান খোলা রাখার পক্ষে মত দেন।

এরপর মঙ্গলবার বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হৃদেশ মুদি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মালিকপক্ষের মুনাফার স্বার্থ বিবেচনা করা হলেও এদেশের লক্ষ লক্ষ চা শ্রমিকদের মানবিক অধিকারকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে শ্রমিকরা প্রাকৃতিক পরিবেশে কাজ করে, দূরত্ব বজায় রাখলে এখানে সংক্রমণের ঝুঁকি নেই। অথচ বাস্তবতা হলো সিলেটে পর্যটন আর্কষণ হিসাবে চা বাগানগুলোতে কয়েকদিন আগেও বিদেশ ফেরত দর্শনার্থীদের সমাগম, মানুষের মধ্যে অসচেতনতা এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতার কারণে এই সেক্টরে সংক্রমনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। দেশের এই চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে সবাইকে যখন নিজগৃহে নিরাপদে অবস্থান করার কথা বলা হচ্ছে, তখন একই রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে চা শ্রমিকদের জন্য ভিন্ন আইন কিভাবে চালু থাকে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন বারেবারেই বাংলাদেশে সর্তকতা বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছে তখন চা বাগান খোলা রাখার মধ্য দিয়ে কার্যত চা শ্রমিকদের এক চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, অবিলম্বে দেশের সকল চা বাগােেন মজুরী ও রেশনসহ ছুটি ঘোষনা ও শ্রমিকদের খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত