স্পোর্টস ডেস্ক

০৭ অক্টোবর, ২০২৩ ১৪:১০

আফগানদের ১৫৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ

শুরুতে কিছুটা সাবলীলভাবেই খেলছিল আফগানিস্তান। ৪৭ রানের জুটি গড়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিল তারা। তবে ওপেনিং জুটি ভেঙেই গর্জে ওঠে টাইগার বোলাররা। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানদের দুইশ রানও করতে দেয়নি সাকিব আল হাসানের দল। কোনোমতে দেড়শ রান পার করে আফগানরা।

শনিবার (৭ অক্টোবর) ভারতের ধারামশালায় আইসিসি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রান তুলে গুটিয়ে গেছে আফগানিস্তান। অর্থাৎ জিততে হলে ১৫৭ রান করতে হবে টাইগারদের।

বোলিংয়ে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স। এর আগে ২০১১ সালে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানে অলআউট করেছিল টাইগাররা। অবশ্য ২০১৫ বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানকে ১৬২ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়ান এই দুই ব্যাটার। টাইগার বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম।

তবে ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব। দলীয় ৪৭ রানে ২৫ বলে ২২ রান করে সাকিবের বলে তানজিদ তামিমকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইব্রাহিম।

ইব্রাহিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন গুরবাজ। তবে দলীয় ৮৩ রানে আবারও উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ফের উইকেটের দেখা পান সাকিব। ২৫ বলে ১৮ রান করা রহমতকে সাজঘরে ফেরান তিনি।

রহমতের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। গুরবাজকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে দলীয় ১১২ রানে জোড়া উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

৩৮ বলে ১৮ রান করা শাহিদিকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। আর এরপরেই গুরবাজকে আউট করে বাংলাদেশকে চতুর্থ সাফল্য এনে দেন পেসার মুস্তাফিজ। ৬২ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান তিনি।

এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। ১৩ বলে ৫ রান করা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন সাকিব। আর মোহাম্মদ নবির স্ট্যাম্প হাওয়ায় ভাসিয়ে তাকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ।

এরপর আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন রশিদ খান। তবে দলীয় ১৫৬ রানে রশিদকে বোল্ড করেন মিরাজ। এরপরই ওমরজাইকে আউট করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত