স্পোর্টস ডেস্ক

২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ২২:৫৮

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাংলাদেশের ১৪৯ রানে হার

৩৮৩ রানের জবাব দিতে নেমে দায়িত্ব নিয়ে খেলার কথা ছিল টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের, তারা ব্যর্থ পুরোপুরি। তাদের ব্যর্থতার বড় ব্যবধানে পরাজিত বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৬.৪ ওভারে ২৩৩ রানে অলআউট হয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। ব্যাটিং ব্যর্থতার আরও এক দিনে একপাশে লড়েছেন কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ১১১ রানের ইনিংস বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে শুধু।

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মঙ্গলবারের ম্যাচে টস পক্ষে আসেনি বাংলাদেশের। টস জিতে প্রোটিয়াদের নেতৃত্বভার পাওয়া এইডেন মার্করাম শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাবেননি। মুম্বাইয়ের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ৩৬ রানে ওপেনার রেজা হেনড্রিকস (১২) ও রেসি ফন ডার ডুসেনকে (১) হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বাংলাদেশ ওই সুবিধা ঘরে তুলতে পারেনি। ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও চারে নামা মার্করাম ১৩১ রানের জুটি গড়ে শক্ত ভিত্তি এনে দেন দলকে।

মার্করাম ৬৯ রানে ৬০ রান করে আউট হন। সাতটি চার মারেন তিনি। পরে ডি কক ও হেনরিক ক্লাসেন ১৪২ রানের দুর্দান্ত জুটি দিয়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নাগালের বাইরে নিয়ে যান। ওপেনার ডি কক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা ১৭৪ রানের ইনিংস খেলে থামেন। তার ব্যাট থেকে ১৫টি চার ও সাতটি ছক্কার শট আসে। ক্লাসেন শেষ ওভারে আউট হন ৪৯ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। তিনি আটটি ওভার বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা মারেন। এছাড়া ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে ১৫ বলে চারটি ছয় ও এক চারে ৩৪ রানের ইনিংস।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ। ৫৮ রানে দলের পাঁচ মূল ব্যাটার সাজঘরে ফিরে যান। ওপেনার তানজিদ তামিম ১২ রান করেন। তিনে নামা নাজমুল শান্ত (শূন্য) পরের বলেই আউট হন। সাকিব স্কোরবোর্ডে দিতে পারেন মাত্র ১ রান। মুশফিক খেলেন ৮ রানের ইনিংস। ভরসা দিতে পারেননি সাতে নামা মিরাজও। তিনি ১১ রান করেন। লিটন ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ৪৪ বলে করেন ২২ রান। এর মধ্যে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি খেলেন ১১১ বলে ১১১ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ১১টি চার ও চারটি ছক্কার শট আসে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার।

বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার চার পেসার মার্কো ইয়ানসেন, গেরাল্ড কোয়েটজে, কাগিসু রাবাদা ও লিজার্ড উইলিয়ামস। কোয়েটজে তিন উইকেট তুলে নেন। বাকিরা নেন করে উইকেট। নতুন বল হাতে নেওয়া মিরাজ (৯ ওভারে ৪৪ রান) ছাড়া বাংলাদেশের কোন বোলার সুবিধা করতে পারেননি। মুস্তাফিজ ও শরিফুল ৯ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে ৭৬ করে রান দিয়েছেন। হাসান মাহমুদ ৬ ওভারে ৬৭ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত