০৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৩:৩৭
বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে খেলা শুরু দুপুর আড়াইটায়। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথে আজকের ম্যাচটি দুই দলের ৫৪তম দেখা। দিল্লির বায়ুদূষণ অতিক্রম করে হারের বৃত্ত ভাঙার প্রত্যয় টাইগারদের। আর জয় দিয়ে সেমিতে না পৌঁছানোর ক্ষতে প্রলেপ দিতে চায় লঙ্কানরা।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৫৩ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দুই দলের মুখোমুখি দেখায় জয়ের হিসেবে শ্রীলঙ্কার পাল্লা বেশ ভারী। এখন পর্যন্ত ৪২ ম্যাচে জয় পেয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। আর বাংলাদেশের পক্ষে ফল এসেছে ৯ ম্যাচে, আর বাকি দুই ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনবার দল দুটি। সেই লড়াইয়ে এগিয়ে লঙ্কানরাই। বৈশ্বিক মহারণে এখনও একবারও লঙ্কানদের হারাতে পারেনি লাল-সবুজরা। সবশেষ ২০১৫ বিশ্বকাপে লঙ্কানদের রানের পাহাড়ে পিষ্ট হয়েছিল সাকিব বাহিনী। আর ২০১৯ বিশ্বকাপে বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল দুই দলের ম্যাচ।
ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের হিসেবেও এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। ২০০৮ এশিয়া কাপের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করেছিল লঙ্কানরা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহটা অবশ্য খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। ২০১৭ সালে কলম্বোতে প্রথম ওয়ানডেতে ৩২৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।
দলীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহের লজ্জার রেকর্ডটি বাংলাদেশের দখলে রয়েছে। ২০০২ সালে মাত্র ৭৬ রান সংগ্রহ করেছিল নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ রফিকরা। আর শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোর ২০১৮ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে। বাংলাদেশের বোলাররা শ্রীলঙ্কাকে আটকে দিয়েছিল মাত্র ১২৪ রানে।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি কুমার সাঙ্গাকারার। ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ রান সংগ্রাহক বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছেন ১ হাজার ২০৬ রান। আর টাইগারদের জার্সিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড মুশফিকুর রহিমের দখলে। তিনি করেছেন ১ হাজার ২০ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের কীর্তিও মুশিরই। দুবাইয়ে ২০১৮ সালে খেলেছিলেন ১৪৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। লঙ্কানদের হয়ে রেকর্ড অবশ্য তিলকারত্নে দিলশানের। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
সবচেয়ে বেশি শতকের দিক থেকেও এগিয়ে আছেন সাঙ্গাকারা। বাঁহাতি এই ক্লাসিক্যাল ব্যাটার টাইগারদের বিপক্ষে ৫ বার শতক হাঁকিয়েছেন। আর বাংলাদেশের হয়ে শতক বেশি তামিম ইকবাল এবং মুশফিকের। দুজনেরই আছে দুটি করে শতক।
বোলিং রেকর্ডেও এগিয়ে লঙ্কানরাই। ক্রিকেট কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন উইকেট নিয়েছেন ৩১টি। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার। দুই দলের খেলায় নড়াইল এক্সপ্রেসের ঝুলিতে আছে ২৬ উইকেট।
সেরা বোলিং ফিগারে অবশ্য নেই এই দুজনের কেউই। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের দেখা পাওয়া লঙ্কান পেস কিংবদন্তি চামিন্দা ভাস; সেদিন ২৫ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন। আর বাংলাদেশের স্পিন কিংবদন্তি আব্দুর রাজ্জাক ৬২ রানের বিনিময়ে শিকার করেছিলেন ৫ উইকেট। এটিই বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার।
আপনার মন্তব্য