১০ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:০৬
স্পিনারদের নৈপুণ্যে পাকিস্তানের ব্যাটারদের নাগালেই রেখেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। বাকি কাজটা ভালোভাবেই সারলেন টাইগ্রেস ব্যাটাররা। ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রানের রেকর্ড গড়েন মুর্শিদা খাতুন ও ফারজানা হক। দুই ওপেনারের বিদায়ের পরও পথ হারায়নি বাংলাদেশ। ২৬ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে জ্যোতিরা।
ঘরের মাঠে দারুণ ছন্দে বাংলাদেশের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওডিআইতেও পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারাল জ্যোতি-নাহিদারা। এর আগে সিরিজের প্রথমে ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৫ উইকেট হারতে হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের নৈপুণ্যে ১৬৯ রানের টার্গেট দিয়ে পাকিস্তানকে ১৬৯ রানেই আটকে দিয়েছিল টাইগ্রেসরা। এরপর সুপার ওভারে নাহিদা আক্তারের দুর্দান্ত বোলিং আর ব্যাটিংয়ে সোবানা মোস্তারি ও নিগার সুলতানার জ্যোতির বীরত্বে জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে পাকিস্তান। টার্গেট তাড়ায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ১২৫ রান। নারী দলের ওয়ানডে ইতিহাসে উদ্বোধনীতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে শুকতারা রহমান ও শারমিন আক্তারের করা ১১৩ রান ছিল সর্বোচ্চ জুটি।
দলের জয়ের জন্য মাত্র ৪২ রান প্রয়োজন তখন নাশরা সান্ধুর বলে এলবিডব্লিউ হন ফারজানা হক। সাজঘরে ফেরার আগে ১১৩ বলে ৫ চারের মারে খেলেন ৬২ রানের দারুণ এক ইনিংস। নারীদের ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশিদের মধ্যে আগে থেকেই সর্বোচ্চ রান ছিল ফারজানার। আজকের অর্ধশতক ছিল তার ১০ম। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০ অর্ধশতক ফারজানার, ওয়ানডে ক্রিকেটে একমাত্র সেঞ্চুরিও তার দখলে।
ফারজানার পর আরেক ওপেনার মুর্শিদাকেও ফেরান নাশরা। মাঠ ছাড়ার আগে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন মুর্শিদা। আগের ক্যারিয়ার সেরা ৫১ রানের ইনিংস ছাপিয়ে ১০৬ বলে ৬ চারের মারে এদিন তিনি করেন ৫৪ রান। এরপর ক্রিজে নেমে নিগার সুলতানা জ্যোতির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে বল মোকাবিলার আগেই রান আউট হন ফাহিমা।
আপনার মন্তব্য