স্পোর্টস ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৩:৫৭

অল্প রানের পুঁজি নিয়েই কিউইদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

অল্প রানের পুঁজি নিয়ে আশা জাগাচ্ছে বাংলাদেশ। ৫১ রানের মধ্যেই ৫ কিউই টপঅর্ডারকে সাজঘরে পাঠিয়ে ম্যাচে ফিরতে শুরু করছে টাইগাররা। সাজঘরে ফিরেছেন ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস।

কিউইদের মাত্র ১৩৭ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। বোলিং সহায়ক পিচ হওয়ার কারণে দ্রুতই নিজেদের দায়িত্বের পালনে উঠেপড়ে লেগেছেন টাইগার বোলাররা। সেই দায়িত্বের শুরুটা করেছেন শরিফুল ইসলাম। লাঞ্চ বিরতি থেকে আসার পরই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়েকে এলবিডব্লিউ করেছেন এই বাঁহাতি পেসার। ১৫ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই কিউই ব্যাটার।

কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল টাইগাররা। তবে তাইজুলের ঘূর্ণি স্বস্তি এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। বাঁহাতি এই স্পিনারকে সামনে এসে পুল করতে গিয়ে বলটি মিস করেন উইলিয়ামসন। মুহূর্তেই বলটি হাতে তালুবন্দি করে স্টাম্প ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক নুুরুল হাসান সোহান। দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ২৪ বলে ১১ রান করে ফেরত যান উইলিয়ামসন।

এরপর ব্যাট করতে আসা নিকোলসকেও পিচে থাকতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। এলবিডব্লিউ করে ৩ রান করা কিউই ব্যাটারকে ফেরান এই ডানহাতি স্পিনার।

অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার মাঝে শক্ত হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন টম ল্যাথাম। তাকে ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি সামনের পায়ে ড্রাইভ করার চেষ্টায় ল্যাথামের ব্যাটের বাইরের কানায় লাগে। প্রথম স্লিপে সহজ ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬০ বলে ২৬ রান করে ফিরেছেন ল্যাথাম। পঞ্চাশের আগে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে নিউ জিল্যান্ড।

মেহেদী হাসান মিরাজের বলে অল্পের জন্য বাঁচলেও তাইজুল ইসলামের ওভারে রক্ষা হলো না টম ব্লান্ডেলের। কট বিহাইন্ড হয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন নিউ জিল্যান্ডের কিপার-ব্যাটসম্যান। ২২ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫১ রান।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২৪ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান। টম ল্যাথাম ১৬ রানে অপরাজিত আর ড্যারিল মিচেল খেলছেন ২ রান নিয়ে।

দ্বিতীয় ইনিংসে জাকির হাসানের ফিফটির সুবাদে কোনো মতে ১৪৪ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে ব্যাট করে ৮ রান এগিয়ে ১৮০ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড।

চতুর্থ দিনে অ্যাজাজ প্যাটেল আর মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। কিন্তু অপরপ্রান্ত ধরে রেখেছেন ওপেনিংয়ে নামা জাকির হাসান। অবশেষে চাপের মুখে থেকেও টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি হাঁকিয়েছেন এই টাইগার ব্যাটার।

নাজমুল হোসেন শান্ত, মিনুল হক, মুশফিকুর রহিম ও নাঈম হাসান, তাইজুলের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি করে ৮৬ বলে ৫৯ রান করেন জাকির।

দিনের শুরুটা ভালো করলেও অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। এরপর তো খেই হারিয়ে বসে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অ্যাজাজ প্যাটেলের এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে মুমিনুল (১৯ বলে ১০) ফেরার পর একে একে উইকেট বিলিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন দিপু ও মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, নাঈম হাসান ও শরিফুল ইসলাম।

ব্যাট করতে নেমে পিচে সেটই হতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। খেলেন মাত্র ১২ বল। ৯ রান তুলে মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে স্লিপে থাকা ড্যারিল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। এরপর স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হন শাহাদাত। ১১ বলে ৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন এই ডানহাতি।

ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ মিরাজও। মাত্র ৩ রান করে অ্যাজাজের বলে ক্যাচ তুলে দেন এই ডানহাতি ব্যাটার। নুরুল হাসান সোহান বরাবরের মতোই ব্যর্থ। এদিন তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ডাক মেরে অ্যাজাজের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।

এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ রানের লিডে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দলীয় ৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন মাহমুুদুল হাসান জয় (২ বলে ২)। এরপর ৩৮ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট বিলিয়ে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৪ বলে ১৫ রান করেন এই বাঁহাতি।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন অ্যাজাজ প্যাটেল। ৩টি উইকেট শিকার করেন মিচেল স্যান্টনার। ১টি উইকেট তুলে নেন টিম সাউদি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত