০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০১:১৬
স্বাগতিক ভুটানের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। স্বাগতিকদের কাছে বাংলাদেশের হার ১-০ গোলে।
থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে দুই পক্ষেরই শুরুটা হয়েছে ম্যাড়মেড়ে। প্রথম ম্যাচের মতো প্রথমার্ধে নানন্দিক খেলা উপহার দিতে পারেনি দুই দলই। বলার মতো আক্রমণও সেভাবে হয়নি। বরং বলের দখলে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক ভুটান। অন্তত তিনটি সুযোগ পায় তারা।
এদিন ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে ভুটান। দর্শকরা গ্যালারিতে স্থির হয়ে বসার আগেই আক্রমণে ওঠে স্বাগতিকরা। ক্রসবারের কয়েক গজ দূরে ভুটানের বল রুখে দেন বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল মারমা।
তার ঠিক ৯ মিনিট পর তপু বর্মনের লম্বা বল অফসাইড ফাঁদ ভেঙে পেয়ে ডান দিকে আক্রমণে গিয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তার শট রুখে দেন ভুটানের রক্ষণভাগের ফুটবলার।
২১ মিনিটে ভুটান আবারও আক্রমণে যায়। অল্পের জন্য বেঁচে যায় সফরকারীরা। সতীর্থের ক্রসে ওয়াংডি নিমা পা ছোঁয়াতে পারেননি। তাতেই রক্ষা পান জামালরা।
মিনিট দশেক পর বাংলাদেশকে রক্ষা করেন মিতুল। অহেতুক কারিকুরি করতে গিয়ে বিপজ্জনক নামগিলের কাছে বল হারান সোহেল রানা। বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে নামগিলের জোরালো শট শেষ মুহূর্তে লাফিয়ে ফিস্ট করে দলকে বাঁচান মিতুল।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সোহেল রানার থ্রু থেকে বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন শাহরিয়ার ইমন। তবে তার শট আগুয়ান ইয়েশি গেলশেন ব্লক করে গোল হতে দেননি।
বিরতির পর আগের মতোই ঢিমেতালে চলতে থাকে ম্যাচ। বলার মতো এই অর্ধে আক্রমণও হয়নি। উল্টো স্বাগতিকরা শক্তিমত্তা দেখান এই অর্ধে। ৬৭ মিনিটে বক্সের ভেতরে ইয়েশ দর্জির কোনাকুনি শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। একটু পর কিংমা ওয়াংচুকের দুর্বল শট সহজে গ্লাভসে জমান মিতুল।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মোরছালিনের জায়গায় জামাল ও সোহেল রানা জুনিয়রের বদলি হিসেবে মজিবুর রহমান জনি নামেন। অভিজ্ঞ দুজন নামলেও খেলার গতি বা আক্রমণের ধার বাড়েনি।
শেষ দিকে আচমকাই গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। ফ্রি কিকের পর সতীর্থের হেড পাসে বক্সে ফাঁকায় থাকা কিংমা ওয়াংচুকের নিখুঁত শট বাংলাদেশের জালে জড়ায়।
এ হারে ২০১৬ সালের পর ভুটানের মাঠে ফের হারের তেতো স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ১৬ ম্যাচের পরিসংখ্যানে এখন বাংলাদেশের জয় ১২টি, ভুটানের ২টি।
আপনার মন্তব্য