স্পোর্টস ডেস্ক

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৫:০৩

মমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের ২৩৩

৬ উইকেটে ২০৫ নিয়ে চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বিরতির পর খুব বেশি সময় ঠিকতে পারেনি টাইগাররা। জসপ্রিত বুমরার বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে থাকে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ইনিংস। যদিও লাঞ্চ বিরতির আগে শতক করা মমিনুল হক ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে ৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে পণ্ড হয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের খেলা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে দুই অপরাজিত ব্যাটার মমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম।

দিনের ষষ্ঠ ওভারে জসপ্রিত বুমরার বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন মুশফিক (১১)। দারুণ শুরু করেছিলেন লিটন দাস। তবে মোহাম্মদ সিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন লিটন (১৩)।

কানপুর টেস্ট শুরুর আগে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ফলে এ টেস্টে সকলের চোখ ছিল তার ওপর। তবে অশ্বিনের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাকিবকে সাজঘরের পথ দেখান সিরাজ।

অপর প্রান্তে অবিচল ছিলেন মমিনুল। অশ্বিনকে চার মেরে তিনি ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। টেস্ট ক্যারিয়ারের বাঁহাতি ব্যাটারের ১৩তম শতক এটি। দেশের বাইরে এটি তার দ্বিতীয় শতক। এর আগে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে প্রথম শতক করেছিলেন মমিনুল।

সপ্তম উইকেটে মেহেদী হোসেন মিরাজকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়েন মমিনুল। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে এটি সর্বোচ্চ জুটি। বুমরার বলে স্লিপে স্লিপে শুভমান গিলের হাতে ধরা পড়েন ৪২ বলে ২০ রান করা মিরাজ।

পরের ওভারে রাউন্ড দ্য উইকেটে তাইজুল ইসলামকে (৮ বলে ৫ রান) বোল্ড করেন বুমরা। আর সিরাজের বলে এলবিডব্লু হন হাসান মাহমুদ (৪ বলে ১ রান)। বাংলাদেশের শেষ ব্যাটার খালেদ আহমেদকে আউট করে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন রবীন্দ্র জাদেজা।

১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন মমিনুল। ১৯৪ বলের ইনিংসে ১৭টি চার ও একটি ছক্কার মার ছিল। ভারতের পক্ষে বুমরা ৩টি এবং সিরাজ, অশ্বিন ও আকাশ নেন দুটি করে উইকেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত