গত বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে হেরে শিরোপার খুব কাছে গিয়ে ফিরতে হয়েছিলো আর্জেন্টিনাকে। এবার শতবর্ষী কোপার ফাইনালের সুবাস পাচ্ছে তারা। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে খেলতে হলে জিততে হবে আর একটি ম্যাচ।

সেই জয়ের লক্ষ্যে বুধবার সকালে মাঠে নামছে  লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। ফাইনালে যাওয়ার এ লড়াই শুরু হবে বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়।

এবার কোপা আমেরিকায় দুর্দান্ত খেলছে আর্জেন্টিনা। প্রতিযোগিতার একমাত্র দল হিসেবে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচে জিতে পরের রাউন্ডে উঠেছে দলটি। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই কমপক্ষে দুটি করে গোল করেছে। কোয়ার্টারের ম্যাচে তারা ভেনেজুয়েলাকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৪-১ গোলে।

সেমিতে শক্তির বিচারে আর্জেন্টিনার দুর্বল প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। স্বাগতিকরা প্রথম ম্যাচেই কলম্বিয়ার কাছে হেরেছিল। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিপক্ষের জালে বল ঢুকিয়েছে ৭ বার, নিজেরা হজম করেছে ৩টি গোল।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে। গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে করা ১০ গোলসহ এখন পর্যন্ত তাদের গোলসংখ্যা ১৪। আর হজম করেছে মাত্র দু’টি গোল।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বড় কোনো শিরোপা জয়ের আক্ষেপ ঘোচানোর পথে এক ধাপ এগিয়ে যেতে চায় আর্জেন্টিনা।  তাই ম্যাচটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সতর্ক আর্জেন্টিনার কোচ জেরার্ডো মার্টিনো ও অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র চাইবে ঘরের মাঠে চলমান টুর্নামেন্টের শিরোপা নিজেদের শোকেসে তুলতে। আর সেজন্য স্বাগতিকদের বিশেষভাবে চোখ রাখতে হবে মেসির দিকে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে ঠেকাতে পারলে হয়তো ম্যাচ জমিয়ে তুলতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান জানিয়েছেন, মেসি আর আর্জেন্টিনাকে নিয়ে তিনি ভীত নন মোটেও। ২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মানির কোচ থাকাকালে বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনাকে বিদায় করে দিয়েছিলেন এই ক্লিন্সম্যানই। এবার কোপা আমেরিকায় ডেম্পসি-ববি উডদের নিয়ে আর্জেন্টিনাকে আবার হতাশ করতে চাইবেন তিনি।

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৯ বার যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়ে ৫ বারই জিতেছে তারা। হেরেছে দুটি ম্যাচে আর ড্র হয়েছে বাকি দুই ম্যাচ। কোপা আমেরিকায় দুই দলের শেষ দেখা হয়েছিল ২০০৭ সালে। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলে পরাজিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

দশম লড়াইয়ে কে হাসবে শেষ হাসি, তা জানা যাবে বুধবারের সেমিফাইনাল ম্যাচের পর।