অনেকটা কাছে চলে এসেছিলেন বাস দস্ত। কিন্তু লিগের সর্বশেষ দুটি ম্যাচে একটাও গোল পাননি স্পোর্টিং ক্লাব ডি পর্তুগালের (স্পোর্টিং লিসবন) এই ডাচ স্ট্রাইকার। ফলে অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে, এবার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিততে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি।

মেসি তাঁর সর্বশেষ দুই ম্যাচে গোল করেছেন দুটি। আর তাতেই দস্ত পড়ে গেছেন মেসির পেছনে। ৩০ ম্যাচে ৩১ গোল দস্তের। আর মেসি করেছেন ৩১ ম্যাচে ৩৫ গোল।

এখনো অবশ্য গোল্ডেন শু জয়ের সুযোগ আছে দস্তের সামনে। তবে সেটিও অনেক কঠিন কাজ, বলা যায় প্রায় অসম্ভব। পর্তুগিজ লিগে দস্ত ম্যাচ পাবেন আর একটি। মেসিরও লা লিগায় ম্যাচ বাকি আর একটি। অর্থাৎ, মেসিকে পেরিয়ে যেতে লিগের শেষ ম্যাচে দস্তকে করতে হবে পাঁচটি গোল। এই অসম্ভব কাজটা কোনোমতে করে ফেললেও শেষ নয়, দস্তকে প্রার্থনা করতে হবে যাতে নিজের শেষ ম্যাচে মেসি কোনো গোল না পান।

এবার জিতলে এই গোল্ডেন শু সবচেয়ে বেশি জয়ের (৪ বার) তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে উঠবেন মেসি। এই মুহূর্তে তালিকার শীর্ষে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

গোল্ডেন শু না জিতলেও নিজেকে নিয়ে গর্বিত হতে পারেন দস্ত। চোট, অপ্রয়োজনীয় ম্যাচে বিশ্রাম আর ফর্মের ওঠানামা মিলিয়ে রোনালদো এবার একটু পিছিয়ে গেছেন। ২৭ ম্যাচে ২২ গোল করেছেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড। দৌড়ে ছিলেন লুইস সুয়ারেজ, রবার্ট লেভানডফস্কির মতো তারকা ফুটবলার। এঁদের সবাইকেই ছাপিয়ে মেসির সঙ্গে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন দস্ত।

গোলের হিসাবে মেসি-দস্তের সঙ্গে লড়াইয়ে আছেন এডিনসন কাভানিও। এই পিএসজি স্ট্রাইকারের গোল মেসির সমান ৩৫টি। কিন্তু গোল্ডেন শুর রেটিংয়ের হিসাবে ফ্রেঞ্চ লিগ একটু পিছিয়ে থাকায় কপাল পুড়েছে কাভানির। স্পেন ও পর্তুগালের রেটিং পয়েন্ট ২ (ইংল্যান্ড ও জার্মানিরও তা-ই), কিন্তু ফ্রান্সের ১.৫। যে কারণে ৩৫ গোল করেও কাভানি পুরস্কারের দৌড়ে সেরা পাঁচেও নেই!

সূত্র: মার্কা