স্পোর্টস ডেস্ক

০৮ জুন, ২০১৭ ০৩:১৫

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিকে থাকল পাকিস্তান

প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাঁচামরার লড়াইয়ে বৃষ্টি আইনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে তারা ১৯ রানের ব্যবধানে। এরফলে পাকিস্তানের সেমিফাইনালের আশা টিকে থাকল। গ্রুপে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার পরেই তাদের অবস্থান, সবার শেষে আছে শ্রীলংকা।

দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেয়া ২২০ রানের জবাবে ২৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৯ রান করে পাকিস্তান। এরপর বৃষ্টির কারণে খেলা না হওয়ার ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচ জেতে পাকিস্থান। বাবর আজম ৩১ ও শোয়েব মালিক ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।

২৭ ওভারে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে পাকিস্তানের টার্গেট ছিল ১০০ রান। ফলে তারা লক্ষ্যের চাইতে ১৯ রানে এগিয়ে থাকায় ম্যাচ জিতে নেয় তারা। ওপেনার ফখর জামান ২৩ বলে ৬ চারে করেন ৩১ রান। আরেক ওপেনার আজহার আলির ব্যাট থেকে আসে ৯ রান। হাফিজের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। এরপর বাবরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অভিজ্ঞ মালিক। মর্নে মরকেল নেন ২ উইকেট। অপর উইকেটটি নেন ইমরান তাহির।

এর আগে, বুধবার এজবাস্টনে বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ২১৯ রানে আটকে রাখে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার অত দূর পর্যন্ত যেতে পারার পুরো কৃতিত্বটা পাবেন ডেভিড মিলার। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ১০৪ বলে হার না মানা ৭৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে দিয়েছেন লড়াই করার মতো স্কোর।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হাশিম আমলা ১৬ রানে আউট হয়ে যান। অপর ওপেনার কুইন্টন ডি কক করেন ৩৩ রান।

এবি ডি ভিলিয়ার্স ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার নামের পাশে ‘গোল্ডেন ডাক’ পেলেন এ ম্যাচে। ৬১ রানে ৩ উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা আরও ব্যাকফুটে চলে যায় হাসান আলী ফাফ দু প্লেসিসকে (২৬) বোল্ড করে ফেরত পাঠালে। এরপর জেপি দুমিনি (৮) ও ওয়েইন পারনেলকে (০) পরপর দুই বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন হাসান। সব মিলিয়ে ৮ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট পাওয়া হাসান পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার।

কঠিন বিপর্যয়ের মধ্যে নিজের কাজটা করে গেছেন মিলার। যোগ্য সঙ্গ পেয়েছেন ক্রিস মরিস (২৮) ও কাগিসো রাবাদার (২৬) কাছ থেকে। লোয়ার অর্ডারে তাদের কার্যকরী ইনিংস দুটোর সঙ্গে মিলারের হাফসেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ২১৯ রান করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত