ক্রীড়া প্রতিবেদক

১০ জুন, ২০১৭ ০০:৩৪

সাকিব-মাহমুদুল্লাহর মহাকাব্যিক জুটিতে বাংলাদেশের অসাধারণ জয়

সাকিব আল হাসান আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অসাধারণ এক জুটিতে অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা।

সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ দু'জনই সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন। দু'জনে মিলে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই শতাধিক রানের জুটি গড়েছেন।

এই জয়ের ফলে সেমিফাইনালে উঠার আসা এখনো বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ।

টস জিতে নিউ জিল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৬৫ রান। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ডের বোলারদের তোপের মুখে ৩৩ রানে হারায় ৪ উইকেট। এরপরের কাহিনী শুধুই সাকিব আর মাহমুদুল্লাহর। দুজনের অতিমানবীয় দুই ইনিংসে বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে তরি ভেড়ায়।

সাকিব ১১৫ বলে খেলেছেন ১১৪ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। মাহমুদুল্লাহ করেছেন ১০৭ বলে অপরাজিত ১০২ রান। ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি স্পর্শ করা সাকিবের ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মারের সঙ্গে ওই একটি ছক্কা। সাকিব জয় থেকে ৯ রান দূরে থাকতে আউট হয়েও মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে মাহমুদুল্লাহ ফিরেছেন অকল্পনীয় জয়কে সঙ্গী করে। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১২৮ রানের ইনিংস খেলার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা ৯৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল ফেরেন সাজঘরে। তামিমের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নেমেই ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। নেমেই পরপর দুই বলে মারেন দুই বাউন্ডারি। এই চালিয়ে খেলার মাসুল তাকে দিতে হয়েছে সাউদির পরের ওভারেই। নিজের দ্বিতীয় এবং ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে সাব্বিরকে সাউদি বিদায় করেছেন উইকেটের পেছনে রনকির হাতে ক্যাচ বানিয়ে। নিজের তৃতীয় ওভারে সাউদি ফিরিয়ে দেন সৌম্যকেও। একটু পর গতির ঝড় তুলে মুশফিকের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন অ্যাডাম মিলনে।

বাংলাদেশের শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যান মিলে ২৫ রান। তামিম ০, সৌম্য ৩, সাব্বির ৮, মুশফিক ১৪।

এর আগে কার্ডিফের মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সেই সিদ্ধান্তে মাশরাফির খুশির হওয়ার কথা। কারণ, টসের পর মাশরাফি স্পষ্টই বলে দেন, টস জিতলে তিনিও প্রথমে বোলিংই নিতেন! উইলিয়ামসন মাশরাফির সেই চাওয়া পুরণ করলেও বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। মাশরাফি-মোস্তাফিজকে পিটিয়ে কিউই দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও লুক রনকি ৭ ওভারেই তুলে ফেলেন ৪৬ রান।

এরপরই বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম খেলতে নামা তাসকিন আহমদে। ফিরিয়ে দেন রনকি। একটু পর ৩৫ বলে ৩৩ রান করা গাপটিলকেও ফিরিয়ে দেন রুবেল হোসেন। বাংলাদেশ শিবিরে ফিরে স্বস্তি।
তবে এরপরও উইলিয়ামসন (৫৭)ও রস টেলরের (৬৩) জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৩০০ পেরোনো স্কোরের সম্ভাবনাই জাগিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এক পর্যায়ে ৪৩ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করে ফেলেছিল ২২৮ রান। মোসাদ্দেক ভেল্কিতে শেষ ৭ ওভারে তারা করতে পারে মাত্র ৩৭ রান, হারায় ৪ উইকেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত