এই প্রথম আইসিসির কোন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে ভারতের কাছে হেরে সেমিফাইনালের বাধা পেরিয়ে ফাইনালে যাওয়া হয়নি টাইগারদের।

সেমিফাইনালে ওঠার আগে থেকেই কিউইদের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর ক্রিকেট বিশ্বের প্রশংসায় ভেসেছেন মাশরাফিরা। সেমিফাইনালে বড় ব্যবপধানে হেরে বিদায় নেয়ার পরও প্রশংসিত বাংলাদেশ।

সেমিফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের পরাজয়ের পর আইসিসির ওয়েবসাইটে লেখা এক কলামে শ্রীলংকার সাবেক ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকার বলেছেন, টাইগাররা মাথা উঁচু করেই টুর্নামেন্ট শেষ করেছে। যোগ্যতার পরিচয় দিয়েই টুর্নামেন্টের মূলমপর্বে খেলেছেন মাশরাফি-তামিম ও সাকিবরা।

সেমিফাইনালের বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, গেমটিতে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত সব বিভাগে পরাস্ত হয়েছে। তবে গ্রুপপর্বে অস্ট্রেলিয়াকে পিছনে ফেলে সেমিফাইনালে ওঠায় ঢাকায় পরবর্তী সিরিজে টাইগারদের মাথা উঁচুই থাকবে।

সাঙ্গাকারার মতে, গত কয়েক বছরে টাইগার ক্রিকেট অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এর পেছনে ছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংয়ের উন্নত কোচিং, সহায়ক ক্রিকেট বোর্ড ও সাকিব আল হাসানের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের দলের প্রতি আত্মত্যাগ। এসবের মাধ্যমেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একটি শক্তিশালী দলে পরিণত হচ্ছে।

তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ তার বিগত দিনের পারফরমেন্সের কারণে গর্বিত ও খুশি হতে পারে। উচ্ছ্বসিত হওয়াটাই তাদের জন্য যথার্থ। তবে আগামীকে জয় করতে তাদের বোলিং শক্তিকে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলতে হবে। বিশ্বকাপে তাদের ভালো পারফরমেন্সের জন্য বোলিংয়ের ধার ও বিষ বাড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছে সাঙ্গাকারা।

সাঙ্গাকার বলেন, সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশের স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী ক্রিকেট প্রদর্শনী ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলংকার দলকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

আসন্ন ফাইনাল সম্পর্কে সাঙ্গাকারার লিখেন, বার্মিংহামে চমকপ্রদ এশিয়ান ডার্বি দেখেছে বিশ্ববাসী। একইসঙ্গে ফাইনালে আরও বড় ধরনের ডার্বি ম্যাচ দেখার অপেক্ষা সবার।

নিজের লেখায় আয়োজক দেশের আবহাওয়া ও কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এশিয়ার তিনটি দলের সেমিফাইনালে উন্নীত হওয়া নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এই 'গ্রেট' ক্রিকেটার।