প্রায় এক দশকের প্রণয় বিয়েতে রূপ নিল গত সপ্তাহে। ৩০ জুন আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মিসেস মেসি’ বানিয়েছেন লিওনেল মেসি। বাল্যকালে যে গল্পটা শুরু হয়েছিল, সেটির এমন পরিণতি হাসি ফুটিয়েছে সবার মুখে।

তবে এ মধুর গল্প হাহাকার জাগিয়েছে কারও মনে। সে মানুষটি রোকুজ্জোর সাবেক প্রেমিক। যিনি এখন সান্ত্বনা খুঁজছেন এ তথ্যে, মন দেওয়া-নেওয়ার খেলায় তিনি যার-তার কাছে হারেননি, হেরেছেন মেসির কাছেই।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেসি ও রোকুজ্জোর একটি ছবি খুবই জনপ্রিয়। সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া দুজন প্রেমিক-প্রেমিকার সে ছবির সঙ্গে বর্তমানের মেসি-রোকুজ্জোর ছবি মেলান সবাই। এ দুজনের প্রথম প্রেমে পড়ার গল্পটিও জানেন অনেকেই। নয় বছরের মেসি প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েছিলেন রোকুজ্জোর। একটা চিঠিও লিখেছিলেন, তাতে লেখা ছিল, ‘একদিন আমরা প্রেমিক-প্রেমিকা হব।’

তবে ক্যারিয়ার গড়তে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনা চলে আসেন মেসি। দুজনের মন দেওয়া-নেওয়াটাও থেমে যায় সে সময়েই। রোকুজ্জো নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কিছুদিন পরেই। তবে মেসি আর্জেন্টিনায় ফিরে আসছেন শুনে সে সম্পর্কে ইতি টানেন রোকুজ্জো। সেটি ২০০৭ সালের ঘটনা। বন্ধুবান্ধবের এক আড্ডায় প্রথম ধরা পড়ে, লুকিয়ে লুকিয়েই প্রেম শুরু করেছেন দুজন।

রোকুজ্জোর সাবেক প্রেমিক এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে অবশ্য একটু দার্শনিক হওয়ার চেষ্টা করেছেন। ২০১০ সালে স্থানীয় এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সে আমাকে ছেড়ে গেছে, কিন্তু সে তো সাধারণ কারোর জন্য যায়নি। সে আমাকে ছেড়ে গেছে মেসির জন্য!’

লিওনেল মেসি নামটাই যেন ‘ব্যর্থ’ এই প্রেমিকের জন্য সান্ত্বনা হয়ে থাকছে।
সূত্র: এএস ডট কম