স্পোর্টস ডেস্ক

১৩ অক্টোবর, ২০১৭ ১৪:০৫

‘ফুটবলের কাছে রোনালদোর একটা বিশ্বকাপ পাওনা’

বিশ্বকাপের বছরেই ৩৩-এ পা দেবেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। সাধারণ একটা দলকে তিনি অসাধারণ করে তুলেছেন, তার কারণেই ২০১৬-এর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে পর্তুগাল। ক্লাব ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদকে যেমন দেন অনেক কিছু, একইভাবে দেন জাতীয় দলকেও।

দেশের ফুটবলের প্রতি রোনালদোর এমন নিবেদনের কারণেই স্প্যানিশ মার্কা পত্রিকা ‘ফুটবলের কাছে রোনালদোর একটি বিশ্বকাপ পাওনা’— এমন শিরোনামে এক মতামত প্রকাশ করেছে। লেখক হুয়ানমা রদ্রিগেজের চোখে এটাই পর্তুগিজ অধিনায়কের শেষ সুযোগ।

তিনি প্রথমেই স্বীকার করে নিয়েছেন, রোনালদোর পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়, তাই ২০২২ বিশ্বকাপেও রোনালদোকে দেখার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সম্ভবত ২০১৮-ই হবে রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপ। এটা তো তর্কাতীতভাবেই সত্যি, সর্বকালের সেরা চারজন ফুটবলারের একজন রোনালদো। বিশ্বকাপ জিতে ক্যারিয়ার শেষ করাটাই তো তার সঙ্গে মানায়!

রদ্রিগেজের দাবি, সংবাদমাধ্যম যেভাবেই দেখাতে চাক না কেন, রোনালদোর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে শুধুই ফুটবল। একজন আদর্শ খেলোয়াড়, যিনি প্রতিটি মুহূর্ত আরেকটু ভালো খেলার জন্য প্রস্তুতিতে ব্যয় করেন। যা অর্জন করেছেন তাতেই সন্তুষ্ট হন না। যদিও রোনালদো কোটি মানুষের আদর্শ এবং বিশ্বসেরা ক্লাবে খেলেন। কিন্তু তার জাতীয় দল পর্তুগাল কিন্তু গড়পড়তা। সে দল নিয়েই ২০১৬-এর ইউরো জিতেছেন রোনালদো।

বর্তমানের অন্য সব ফুটবলারের চেয়ে আলাদা রোনালদো। বিশের অন্য সব তারকাই জাতীয় দলে যোগ্য সমর্থন পান। কিন্তু পর্তুগাল দলে রোনালদো সম্পূর্ণ একা। যেখানে অন্য তারকাদের দেশে নিয়মিত সমালোচনার শিকার হতে হয়, রোনালদোকে নিয়ে পর্তুগাল মেতে থাকে। তার ছন্দে পুরো দল ছোটে। এই দল নিয়েই যদি বিশ্বকাপ জেতেন, তবে ফুটবলে রোনালদোর নামটা লেখা থাকবে অনন্য এক উদাহরণ হয়ে। রোনালদোর কাছ এই বিষয়ে ফুটবলের দেনা থাকবেই। ফুটবলের উচিত এই দেনা খুব দ্রুত পরিশোধ করে দেওয়া!

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার পর আর্জেন্টিনার কোচ হোর্হে সাম্পাওলি দাবি করেছিলেন, ফুটবলের কাছেই মেসির পাওনা বিশ্বকাপ। সাম্পাওলির এমন মন্তব্যের পর ফুটবল বিষয়ক জনপ্রিয় পত্রিকা মার্কা রোনাদোকে নিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত