ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৩ আগস্ট, ২০১৫ ০৯:৩৪

পঞ্চম দিনও খেলা পরিত্যক্ত, ঢাকা টেস্ট ড্র

চট্টগ্রামের মতো ঢাকায়ও জিতল বৃষ্টি। চট্টগ্রামে বৃষ্টির দখলে দুই দিন থাকলেও ঢাকায় তার দ্বিগুণ, অর্থাৎ চার দিনের বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ড্র ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। ফলে দুই ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ- দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে কেউ জেতেনি, কেউ হারেনি। তবে রেকর্ডবুকে লেখা না থাকলেও সিরিজে জয়ী পক্ষের নাম বৃষ্টি। 

টানা তিন দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষদিন সোমবার মিরপুরের আকাশ পরিষ্কারই ছিল। তবু মাঠে বল না গড়ানোর সিদ্ধান্ত  দিলেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।

কাগজে কলমে আরেকটি ড্র ম্যাচ পরিসংখ্যানে যোগ হল বাংলাদেশের। মিরপুরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে যেখানে গতকালই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা সেখানে বৃষ্টি না থাকার পর খেলা না হওয়া বিস্ময়করই। কারণ টানা বৃষ্টিতে ভেজা থাকায় আউটফিল্ড 'খেলা উপযোগী' নয়।

যদিও আউটফিল্ডে পানি জমে থাকতে দেখা যায়নি।

বৃষ্টিতে টেস্ট ম্যাচ প্রথম পরিত্যক্ত হয় ১৮৯০ সালে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া তিন দিনের টেস্ট ম্যাচটিতে একটি বলও হতে পারেনি। ১৯৩৮ সালে একই ভেন্যুতে এই দুই দলেরই আরেকটি টেস্ট পরিত্যক্ত হয়। চার দিনের টেস্ট ম্যাচটিতে জয় পায় বৃষ্টিই।

১৯৭০ সালে অ্যাশেজের একটি টেস্ট পরিত্যক্ত বলে ঘোষিত হয়। তিনদিনের একটি দিনও ব্যাট-বল নিয়ে বৃষ্টির কারণে মাঠে নামতে পারেননি ক্রিকেটাররা। ফলে, পাঁচদিনের টেস্ট তিন দিনেই পরিত্যক্ত। এর ১৯ বছর পর ১৯৮৯ সালে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান এবং পরের বছর গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড টেস্ট বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।

পরিসংখ্যানে ১৯৯৮ সালে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ পরিত্যক্তের ঘটনা ঘটে। ডানোডিনে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচে ভারী বৃষ্টিতে ম্যাচের তৃতীয় দিন পর্যন্ত কোনো বল মাঠে না গড়ালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচটি। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে টেস্ট ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়। ফয়সালাবাদে ঘন কুয়াশার কারনে ম্যাচের চতুর্থ দিন পর্যন্ত একটি বলও মাঠে গড়ায়নি।

বাংলাদেশ-দ. আফ্রিকা ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সাদা পোশাকের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ যেহেতু ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে, সেহেতু এ ম্যাচটির পঞ্চম বা শেষ দিনও কোনো বল মাঠে না গড়ালেও ড্র মেনে নিতে হয় দুই দলকেই।

এই টেস্টেই ৪০০ উইকেট পূর্ণ করা ডেল স্টেইনই সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন আর সিরিজের কাপটা তুলতে হয়েছে দু'দলের অধিনায়ককেই। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত