সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

১০ আগস্ট, ২০১৫ ১৭:৪৯

সামনে বাংলাদেশ, তাই বিদেশে ব্যর্থতার কারণ খুঁজছে টিম অস্ট্রেলিয়া

অক্টোবরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। বাংলাদেশের সাফল্যের গ্রাফ যেখানে উর্ধমুখি সেখানে টিম অস্ট্রেলিয়া রীতিমত ধুঁকছে। চলমান অ্যাসেজ সিরিজ তার প্রমাণ। মাত্র ১১১ বলে ৬০ রানে অলআউটের হওয়ার লজ্জাও আছে সেখানে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজকে সামনে রেখে ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে বসেছে অস্ট্রেলিয়া। 

গত দুই বছরে দেশের বাইরে রীতিমত ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া। এ সময়ে তারা ভারত, পাকিস্তান আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারে। দলের এ ব্যর্থতা ভাবিয়ে তুলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। তাই চলমান অ্যাশেজ সিরিজের পর বিদেশের মাটিতে দলের বিপর্যয়ের কারণ পর্যালোচনা করবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড।

শুধু ইংল্যান্ডে নয়, বাংলাদেশ সফরের আগে দেশের বাইরের সিরিজগুলোতে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করতে চায় তারা। নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে শনিবার সিরিজের চতুর্থ টেস্টের তৃতীয় দিনই ইনিংস ব্যবধানে হেরে অ্যাসেজ খোয়ায় অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটিং দীনতা, মাত্র ১১১ বলের মধ্যে অলআউট হওয়ার ঘটনায় সাবেক ক্রিকেটারেরা চরম বিরক্ত দলের খেলোয়াড়দের ওপর। এই দলে আছেন রিকি পন্টিং আর শ্যেন ওয়ার্নের মতো সাবেক গ্রেটরা।

অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের আট খেলোয়াড়ের আর কখনো টেস্ট খেলা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়া দলের সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং। অ্যাসেজে দলের বাজে পারফরমেন্সের পর অস্ট্রেলিয়া দলে পরিবর্তন আনা প্রসঙ্গে সম্প্রতি ইসপিএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন রিকি পন্টিং।

দেশের মাটিতে খেলা সবশেষ পাঁচটি টেস্ট সিরিজের চারটিই জেতে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু গত দুই বছরে দেশের বাইরে ভারত, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজিত হয় তারা। ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্ট হারার পর মেলবোর্নে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও জেমস সান্ডারল্যান্ড জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তারা।

“প্রত্যেক সিরিজের পরই আমরা বসব ও পর্যালোচনা করব।…দেশের বাইরে খেলাটা সহজ নয়। কিন্তু আমরা উন্নতি করতে পারি। আমরা বিশ্বের সেরা ক্রিকেট দল হতে চাই এবং এটা করতে বিদেশে আরও ভালো করতে হবে আমাদের।”

ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্ট হেরে যাওয়ার পর টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। চলতি অ্যাশেজ সিরিজই তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট সিরিজ হবে।

পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজের শেষ টেস্টটি ওভালে ২০ অগাস্ট শুরু হবে। এই ম্যাচ শেষেই ব্যর্থতার বিশ্লেষণ করতে বসার কথা জানান সান্ডারল্যান্ড।  

অ্যাশেজ শেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসবে তারা, মুশফিকুর রহিমদের বিপক্ষে খেলবে দুটি টেস্ট। ক্লার্কের বিদায়ের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব থাকতে পারে স্টিভেন স্মিথের কাঁধে।

৯ অক্টোবর চট্টগ্রামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। আর দ্বিতীয় টেস্ট ঢাকায় শুরু হবে ১৭ অক্টোবর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত