সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

০৩ অক্টোবর, ২০১৫ ১৮:৪০

জাতীয় লিগে রানে ফিরলেন মুমিনুল

ফাইল ছবি

জাতীয় লীগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলার প্রথম দিনে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনা। 

খুলনায় টস জিতে বরিশালকে ব্যাট করার আহবান জানায় সিলেট। দিন শেষে ফজলে মাহমুদের সেঞ্চুরির ফলে ৫ উইকেটে ২৯৫ রান তোলেছে শাহরিয়ার নাফিসের বরিশাল। সিলেটের পক্ষে এনামুল জুনিয়র ২ উইকেট পান।

এদিকে  রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের শুরুটা হয়েছিল বাজে। প্রথম ওভারেই শাফাক আল জাবিরের বলে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল (০)। খানিক পর ফরহাদ রেজা নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবালকে (৬)।

পরের ওভারে তাসামুল হকের (১) বিদায়ে চট্টগ্রামের স্কোর হয়ে যায় ৩ উইকেটে ২৯। দলের বিপর্যয়ে ইয়াসির আলিকে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক। দুজন শুধু প্রতিরোধই গড়েননি, পাল্টা আক্রমণও করেছেন। চতুর্থ উইকেটে ২৫.৩ ওভারে ১২২ রানের জুটি গড়েন দুজন।

১৪ চার ও ২ ছক্কায় ১০৭ বলে ৯০ করে মুমিনুল এলবিডব্লিউ হন তাইজুল ইসলামের বলে।

পঞ্চম উইকেটে দুই তরুণ ইয়াসির ও ইরফান শুক্কুর গড়েন ৯০ রানের জুটি। মুমিনুলের মত ইয়াসিরকেও সেঞ্চুরির খুব কাছে থামান তাইজুল, ১৫ চার ও ২ ছক্কায় ৯১ রান করে আউট হন ১৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

শুক্কুর অবশ্য শতক ছুঁয়ে তবেই থেমেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় লিগের ম্যাচেই করেছিলেন প্রথম শ্রেণির ম্যাচে প্রথম শতক। শনিবার পেলেন দ্বিতীয়টি (১০২)।

দিনশেষে ৪৬ রানে অপরাজিত ছিল মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শেষ বিকেলে দ্বিতীয় নতুন বলে জোড়া আঘাত হানেন রাজশাহীর বাঁহাতি পেসার শাফাক আল জাবির। তারপরও প্রথম দিনে ৮৮ ওভারে চট্টগ্রাম করেছে ৮ উইকেটে ৩৪৬।

বগুড়ায় রংপুরের বিপক্ষে দিনশেষে ৬ উইকেটে ২৬৫ রান করেছে ঢাকা। ঢাকার পক্ষে রনি তালুকদার ৫৯ এবং রকিবুল হাসান ৫২ রান করেন। রংপুরের সোহারাওয়ার্দি শুভ নেন ৩ উইকেট।

মিরপুরে ঢাকা মেট্টোর বিপক্ষে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে সাকিববিহীন খুলনাও ভালোভাবেই দিন শেষ করেছে। শুরুতে উইকেট হারালেও অভিজ্ঞ তুষার ইমরানের ৫৯ এবং মিঠুনের অপরাজিত ৮৭ রানের উপর ভর করে ৫ উইকেটে ২২৭ রান তোলেছে দক্ষিনাঞ্চলের দলটি।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত