
১৬ অক্টোবর, ২০১৫ ১৬:১৯
অশুভ শক্তির বিনাশ আর দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি কামনায় মৌলভীবাজারের ৮ শতাধিক পূজা মান্ডপের মধ্যে একটি মন্ডপে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নবদূর্গা পূজা। বুধবার থেকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের মঙ্গলচন্ডী দেবস্থলিতে শুরু হয়েছে দেবী দূর্গার পূজা। আর এ পূজাতেও রয়েছে বৈচিত্রতা। দেবীপুরাণ চন্ডির বর্ণনানুযায়ী দশভোজা দেবীর ৯টি রূপের কাঠাম তৈরী করে এ পূজার আয়োজন হয়েছে। ব্যাতিক্রমী এ পূজা দেখতে ভক্তরা ভীড় করছেন সেখানে।
বৈদিক বিধান অনুযায়ী দেবী দূর্গার রয়েছে ৯টি রূপ। প্রথম দিন দেবীর শৈলপুত্রী রূপে পূজা করা হয়েছে। এভাবে ব্রক্ষচারিনী, চন্দ্রঘন্টা, কুস্মান্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রী, মহা গৌরি, ও সিদ্ধিধাত্রী রূপে দেবী দূর্গার পূজা করা হবে। আর দেবীর এই নবরুপে পঞ্চম বারের মতো পূজার আয়োজন করে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রায় ৫শত বছরের প্রাচীন দেবস্থলী মঙ্গলচন্ডি থলির পূজা কমিটি।
ভক্তবৃন্দরা জানান, আমরা এখানে মায়ের কাছে আসি আর্শীবাদ নেওয়ার জন্য। প্রার্থনা করি যে সুন্দর করে চলাচল করতে পারি। সমাজে যেন কোন অশুভ শক্তি বিরাজ না করে সেই জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করি।
এখানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা জানান, এখানে বড় করে নবদুর্গা পূজা অনুষ্টিত হয়। আমরা এখানে মায়ের কাছে আর্শীবাদ নিতে আসি যাতে করে ভালো ভাবে পড়াশোনা করতে পারি এবং পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে দেশের জন্য কিছু করতে পারি।
সারাদেশের অনান্য মন্ডপে পুজা শুরু হবে আগামী ১৯ অক্টোবর আর শেষ হবে ২৩ অক্টোবর। কিন্তু এ মান্ডপে পূজা শুরু হয় ১৪ অক্টোবর বুধবার সকাল থেকে। প্রথম দিন দেবীর শৈলপুত্রী রুপে পূজা করা হয়। এভাবে আগামী দশমী তিথি পর্যন্ত দেবীর ব্রম্মচারিনী, কুস্মান্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রী, মহা গৌরি, চন্দ্রঘন্টা ও সিদ্ধিধাত্রী রূপে পূজা করা হবে।
ব্যতিক্রমী এ পূজা দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনাথীরা ভীড় করছেন। বসেছে দোকান পাঠ। ঢাক-ঢোল,শংখ ধ্বনী আর ভক্তদের আগমনে উৎসব মূখর হয়ে উঠেছে মঙ্গলচন্ডী মন্দির। আগামী ২৩ অক্টোবর দশমী তিথিতে শোভা যাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই নবদূর্গা পূজা। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এই পূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানালেন আয়োজকরা।
মঙ্গলচন্ডী নব দূর্গা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিদ দাস জানান, আমরা এই বৎসর পঞ্জমবারের মতো মঙ্গলচন্ডী সেবাশ্রমে নবদুর্গা পূজার আয়োজন করেছি। ছয়দিনব্যাপি পূজা অর্চনা হয়। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের মধ্যে আমরাই এখানে নবদুর্গার পূজার আয়োজন করে থাকি। এখানে সিলেট অঞ্চল তথা সারা দেশের মানুষের সমাগম হয় এবং প্রচুর আনন্দ ফুর্তি হয়। পূজায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়।
আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।৯দিন ব্যাপী এ পূজা মৌলভীবাজারবাসীর কাছে যোগ হয়েছে যেমন নতুনমাত্রা। তেমনি এটি জগতের মঙ্গল বয়ে আনবে এমনটা আশা পূজারীদের।
আপনার মন্তব্য