সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৭:২৬

আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ ও করদাতাকে অডিটে না ফেলার অনুরোধ

দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও কর অ ল-সিলেট এর যৌথ উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় চেম্বার কনফারেন্স হলে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব।

সভায় কর অ ল-সিলেট এর কমিশনার মো. সাইফুল হক বলেন, ব্যবসায়ীরা অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ব্যবসায়ীদের প্রদানকৃত রাজস্বের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, চলমান করোনা মহামারীর কারণে এ বছর আয়কর মেলা হবে না, তবে ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য আমরা কর অফিসে একটি পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করেছি।

তিনি উল্লেখ করেন, সিলেট চেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দাবির প্রেক্ষিতে সিলেটে কর ভবন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি কর ভবন বাস্তবায়ন ও সকল ব্যবসায়ীদেরকে করের আওতায় আনতে সিলেট চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজীকরণ, পাসপোর্টের মাধ্যমে ই-টিআইএন প্রদানসহ সিলেট চেম্বারের দাবি-দাওয়া সমূহ বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন।

সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব প্রদানে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধকরণে কাজ করে থাকে। সিলেটের ব্যবসায়ীরা কর প্রদানে বরাবরই আন্তরিক। এজন্যে ইতোপূর্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে সিলেট চেম্বার ও ব্যবসায়ীদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। তিনি কর প্রদানে ব্যবসায়ীরা যেন কোন ধরণের হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য কর কমিশনারকে অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, চলমান কর ব্যবস্থায় অডিট এবং সার্বজনীন স্বনির্ধারণী আইনের মূল উদ্দেশ্য বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। নিয়মিত কর পরিশোধকারী করদাতাদের রিটার্নগুলোকে ইচ্ছামাফিক অডিটের আওতাভুক্ত করা হচ্ছে। যার ফলে করদাতাদের আইনি খরচ ও হয়রানি দুটিই বৃদ্ধি পায়। তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে কোন করদাতাকে অডিটে না ফেলার অনুরোধ জানান।

সভায় চেম্বার নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে অনেক ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তারা ই-টিআইএন গ্রহণ করতে পারছেন না। তাই সিলেটের প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্টের মাধ্যমে ই-টিআইএন গ্রহণের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানান। এছাড়াও কর অফিসে ব্যবসায়ীদের জন্য হেল্প ডেস্ক খোলা ও কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণের অনুরোধ জানান।

সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. আবু সৈয়দ সোহেল, যুগ্ম কর কমিশনার পংকজ লাল সরকার ও শাহেদ আহমদ চৌধুরী, উপ-কর কমিশনার কাজল সিংহ ও মো. আবু সাঈদ, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন সাহা, সহ-সভাপতি তাহমিন আহমদ, পরিচালক মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, ভ্যাট বাজেট শুল্ক কর ও ট্যারিফ সাব কমিটির আহবায়ক ও পরিচালক মো. এমদাদ হোসেন, পিন্টু চক্রবর্তী, এহতেশামুল হক চৌধুরী, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), মো. আতিক হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত