মুজাহিদুল ইসলাম সর্দার, দিরাই

২১ অক্টোবর, ২০২০ ১৬:৩৫

দিরাইয়ে আইপিল’র ম্যাচ নিয়ে জুয়ায় মেতেছে তরুণ-যুবারা

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, হাটবাজার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চলছে জমজমাট ক্রিকেট জুয়া। বর্তমানে চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলাকে কেন্দ্র করে পুরো উপজেলা মেতে উঠেছে ক্রিকেট জুয়ায়।

ক্রিকেট খেলা নিয়ে জুয়ায় তরুণ ও বেকার যুবকদের সংখ্যাই বেশী। এতে ঋণগ্রস্ত হয়ে অনেকেই সর্বস্বান্ত হচ্ছেন আবার কেউ কেউ অপরাধের দিতে ঝুঁকছেন। অনেক ছাত্ররা পড়ালেখার জন্য পরিবার থেকে দেওয়া টাকা জুয়া খেলায় হেরে যাওয়ায় পড়ালেখা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার হারানপুরস্থ পুরাতন সিনেমা হল সংলগ্ন চাল এর দোকান,  মজলিসপুরে মুদি দোকান, কলেজ রোড, হাইস্কুল রোড, উপজেলা রোড, থানা রোডের একাধিক চা দোকানসহ উপজেলার অনেক স্পটে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার ক্রিকেট জুয়ার বাজি চলছে, ছোট বড় হোটেল থেকে শুরু করে ফুটপাতের চায়ের দোকানেও জমে উঠেছে ক্রিকেট জুয়া নামক ব্যাধি।

চাকুরীজীবী, তরুণ, হোটেল কর্মচারী এমনকি স্কুল কলেজের ছাত্ররাও ক্রিকেট জুয়া ব্যাধিতে আক্রান্ত। শুধু আইপিএল খেলা নয় সারা বছর অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফুটবল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা ইউরোপা, লা-লিগা, কোপা ডেলরে, এফএ কাপ, সিরি-এ, আফ্রিকান নেশনস কাপ, ফেঞ্চালিগ ওয়ান, বুন্দেস লিগা, ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ এবং ক্রিকেটের টি-২০, টেস্ট, ওয়ানডে, আইপিএল, বিপিএল, বিশ্বকাপ আসর এমনকি দেশ বিদেশের ঘরোয়া লিগগুলোকে ঘিরে বাজি কারকদের চলে রমরমা জুয়া খেলার বাণিজ্য।

বিজ্ঞাপন

শক্তিশালী দলের সঙ্গে দুর্বল দলের খেলা থাকলে সেক্ষেত্রে দেওয়া হয় লোভনীয় অফার। এইসব জুয়া খেলা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই বেশি হয়। টাকা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এজেন্টের কাছে উভয় পক্ষ টাকা জমা রাখেন, এছাড়াও বিকাশ, রকেট, ডাচ্ বাংলা সহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান করা হয়।

এ ছাড়াও করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় কিছুটা ধস নামার কারণে মোবাইল ফোনে লুডো খেলার দিকে ঝুঁকছে জুয়াড়িরা। স্কুল কলেজ পড়ুয়া একাধিক ছাত্রের অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্রিকেট জুয়া নিয়ে তাঁরা খুবই চিন্তিত, এলাকায় যেভাবে এর আকার ধারণ করেছে তাতে যুব সমাজ লোভে পড়ে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে।

ক্রিকেট জুয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকারে তাঁরা মনে করেন প্রত্যেক অভিভাবকের সন্তানের খোঁজ-খবর রাখতে হবে, তবে প্রশাসন যদি এজেন্টদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনে তাহলে ক্রিকেট জুয়া অনেকটা কমে আসবে বলে আমরা মনে করি। ক্রিকেট বাজি জুয়া খেলায় উপজেলার অনেক তরুণ ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ দিশেহারা।

এ ব্যাপারে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল, বলেন ক্রিকেট জুয়ার এজেন্টদের চিহ্নিত করে শ্রীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত