তাহিরপুর প্রতিনিধি

২২ অক্টোবর, ২০২০ ২২:০১

তাহিরপুরে বিজিবির সদস্যদের হামলায় শিশু আহতের ঘটনার সালিশী সমাধান

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা লাউড়েরগড় সীমান্তের শাহআরেফিন মোকাম এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় বিজিবির সদস্যদের হামলা সুমন মিয়া (৯) নামে এক শিশু গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে মিছিলে বিজিবির ১১ রাউন্ড ফাকা গুলি, ১২টি দোকানপাট ভাঙচুরসহ ১৫ জন আহতের ঘটনায় সালিশী সমাধান হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) তাহিরপুর লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত বিজিবি, উপজেলা প্রশাসনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি জনপ্রতিনিধিও গণমাধ্যম প্রতিনিধিগণ সার্বিক বিষয় আলোচনার প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।

এসময় বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রাসেল, উপ অধিনায়ক (এডি) মাহবুবর রহমান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিং, তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ, বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, উত্তর বড়দল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, তাহিরপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আলম সাব্বির, ইউপি সদস্য মস্তফাসহ স্থানীয় রাজনৈতিকও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বুধবার বিকালে উপজেলা বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় সীমান্তে শাহ আরেফিন মোকাম এলাকার মোড় (লাউড়েরগড় বাজারে পথে) হয়ে যাদুকাটা নদীতে বাংলা কয়লা সংগ্রহের কাজে থাকা মা-বাবার খোঁজ করে আসার সময় বিজিবির এফএস নাইম লাউড়েরগড় ফোর্স শ্রমিকদের ধাওয়া করে। এসময় সবাই দৌড়ে পালিয়ে গেলে এসময় কাউতে ধরতে না পেরে শিশু সুমনকে আছাড় মেরে মাঠিতে ফেলেন এক বিজিবি জওয়ান। এতে সুমন অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে দুঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে জ্ঞান ফেরাতে না পেরে মৃত ভেবে বিজিবি উপর চড়াও হলে আঘাতকারী জওয়ানসহ সবাই ক্যাম্পে ফিরে যান। এরপর স্থানীয় লোকজন বিজিবির বিরুদ্ধে মিছিল শুরু করলে লাউড়েরগড় ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা শাহআরেফিন মোকাম এলাকায় মিছিলে বিজিবি তাদের লক্ষ্য করে ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে মাজার এলাকায় ১২টি দোকানপাট ভাঙচুর করে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। গুরুতর আহতদের সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত