২৮ অক্টোবর, ২০২০ ১৩:৫৭
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমদ (৩৩) হত্যা মামলায় দ্বিতীয়বারের মতো তিনদিনের রিমান্ডে থাকা পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে ফের আদালতে তোলা হয়েছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে তাকে হাজির করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ আদালতে টিটু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারেন।
গত মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) টিটুর ৩ দিনের রিমান্ড শেষ হয়। এর আগে গত ২০ অক্টোবর পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এই মামলায় আরেক কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই।
এদিকে রায়হান আহমদ মৃত্যর ঘটনায় শেখ সাইদুর রহমান নামে আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ১০ অক্টোবর রাতে সাইদুরের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই রায়হানকে ধরে এনেছিলো পুলিশ। রোববার (২৫ অক্টোবর) সকালে সাইদুর রহমান পিবিআই অফিসে নিয়ে আসা হয়। এরপর বিকেলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারর দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
টিটু ও হারুন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। রায়হান আহমদ মৃত্যুর ঘটনায় টিটু-হারুনসহ আরও ৪ পুলিশ সদস্যকে আগেই সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছিলো।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।
এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই। মামলার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
আপনার মন্তব্য