সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০১:২২

হাইকোর্টে জামিন পেয়ে শপথ নিলেন দশঘরের চেয়ারম্যান

নির্বাচনের রাতে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের মামলায় পালিয়ে ছিলেন তিনি। এরপর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। জামিন নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেন এমাদ উদ্দিন খান।

এমাদ উদ্দিন খান সিলেটের বিশ্বনাথের দশঘর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত দশঘর ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জবেদুর রহমানকে ৩৮৫ ভোটের ব্যবধানে হারান তিনি। এমাদ বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।

সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে আরও দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমাদ উদ্দিন খান শপথগ্রহণ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

দশঘর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমাদ খান চককাশিমপুর গ্রামের প্রয়াত বিএনপি নেতা সিরাজ খানের বড় ছেলে।

জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত দশঘর ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জবেদুর রহমানকে ৩৮৫ ভোটের ব্যবধানে হারান বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এমাদ খান। ভোটকেন্দ্রে হামলার ঘটনায় পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে নির্বাচনের রাত থেকেই পালিয়ে ছিলেন তিনি। এরপর গত ১১ নভেম্বর দুপুরে ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দর বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন তিনিসহ ৩২ নেতাকর্মী। ওইদিন শুনানি শেষে ৪ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। আর জামিনের ১২ দিনের মাথায় তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, পুলিশের মামলার কারণেই তিনি জনগণের পাশে থাকতে পারেননি। উচ্চ আদালতে জামিন নিয়ে সোমবার তিনি শপথ নিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নির্বাচনের দিন রাতে দশঘর এনইউ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে পিকআপযোগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা রওয়ানা দেন। এসময় ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে এমাদ খান ও তার সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। এসময় পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ন-১৬-৪১০৮) গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করেন। এসময় পুলিশ ৫ রাউন্ড রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৩১ অক্টোবর থানা পুলিশের এসআই নূর হোসেন বাদী হয়ে নির্বাচিত এমাদ উদ্দিন খানকে প্রধান আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ২০)। মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত