রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর

০৯ মার্চ, ২০২১ ১৪:৩০

জগন্নাথপুরে অপ্রাপ্তবয়স্ক-অদক্ষ চালকদের কাছে জিম্মি জীবন

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অবৈধ যানবাহনের দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদক্ষ চালকদের হাতে গাড়ি থাকায় বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলা জুড়ে। প্রতিমাসেই আইনশৃঙ্খলায় সভায় আলোচনা হলেও বাস্তবায়নে মিলছে না সুফল।

গতকাল সোমবার উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আবারও দাবি উঠেছে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সকল ধরনের অবৈধ যানবাহন দ্রুত অপসারণ করার জন্য। এর আগে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলায় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হলেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সভায় শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রিপন জানান, শহরের পৌর পয়েন্ট এলাকাসহ জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কে অবৈধভাবে বেআইনি যন্ত্রণার যানবাহনের স্ট্যান্ড স্থাপন করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। ফুটপাত দখলমুক্ত করে নাগরিক দুর্ভোগ কমাতে হবে।

জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শঙ্কর রায় সভায় বলেন, পৌরশহরের প্রতিটি সড়কে অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এলোমেলোভাবে যান পড়ে থাকে সড়ক জুড়ে। এতে পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পৌরবাসী। দ্রুত যানজটমুক্ত করে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানাচ্ছি।

সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, দীর্ঘদিন ধরে শহরে অবৈধ ইজিবাইক (টমটম), ব্যাটারিচালিত রিকশা, ট্রাক্টর (কুত্তা গাড়ি), ট্রলি, তিন চাকার গাড়িসহ বিভিন্ন অবৈধ যান বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে। এসব যানের অধিকাংশ চালক অপ্রাপ্ত ও অদক্ষ। ফলে দুর্ঘটনায় বাড়ছেই।

জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্র পৌর কার্যালয় থেকে রানীগঞ্জ আছাব আলী ব্রিক ফিল্ড পর্যন্ত ফুটপাত দখল হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ যানের উৎখাতে অতিষ্ঠ নাগরিক। দ্রুত নাগরিক সভায় পৌর কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

জগন্নাথপুর থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দিনের বেলা ট্রাকসহ স্থানীয় পর্যায়ের পণ্য বহনকারী যানগুলো বন্ধ করতে হবে। এসব যানের পণ্যের মালামাল রাতের বেলায় আপলোড করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে অবৈধ টমটম শহরে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাহলে নাগরিক সেবা ফিরবে।

জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন সভায় জানান, পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাগবে সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। রিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহনের লাইসেন্স কার্য কর্তৃপক্ষ নিতে পারে না। শহরকে যানজটমুক্ত করতে তিনি পর্যায়ের নেতৃবৃন্দর সহযোগিতা চেয়েছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, যানজট, দখলমুক্তসহ নাগরিক দুর্ভোগ এড়াতে আমরা পৌর কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করব।

জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, পৌরশহরে কোনো স্থায়ী স্ট্যান্ড নেই। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে স্থায়ীভাবে স্ট্যান্ড করা দরকার। পৌরশহরসহ উপজেলাবাসীর সার্বিক উন্নয়নে সকলের আন্তরিকতা দরকার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বেও আইনশৃঙ্খলা সভায় বক্তব্য দেন জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শ্রেণির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত