মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিএনজি অটোচালক জলিল মিয়াকে (২৬) প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে শমশেরনগর চৌমোহনায় সহস্রাধিক সিএনজি অটোচালক ও পরিবহন শ্রমিকরা প্রায় তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।

শমশেরনগর-কমলগঞ্জ শ্রমিক সমন্বয় কমিটির ডাকে শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল ৯টায় থেকে শমশেরনগর চৌমোহনায় তিন ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে শ্রমিকরা এই বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করে। এসময় রাস্তার চতুর্দিকে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণ।

শমশেরনগর চৌমোহনা সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল গণির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সারফিন আহমদের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ, আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা, শমশেরনগর বণিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল মালিক বাবুল, সাংবাদিক শাহীন আহমদ, সিএনজি-অটো চালক সমিতি কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আলমাছ মিয়া, পরিবহন শ্রমিক নেতা নূরুল ইসলাম, শেখ রাজু আহমদ, জসিম উদ্দীন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সিএনজি অটোচালক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জলিল মিয়াকে (২৬) প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনার নয়দিনে পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে গ্যাস ভর্তি নিয়ে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনার সময় ছুরিকাঘাতে সিএনজি অটোচালক জলিল মিয়া প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত চালকের বড় ভাই খলিল মিয়া বাদি হয়ে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া শফি, তার দুভাইসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত চালক জলিল মিয়া আলীনগর ইউনিয়নের আলীনগর বস্তির মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস মিয়া ওরফে লাল মিয়ার ছেলে।

কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ মামলায় পুলিশ ইতোপূর্বে এজাহারভূক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি জোর তৎপরতা চলছে।